পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আমেরিকায় ধীরে থাবা বসাচ্ছে ‘জম্বি ড্রাগ’। ফ্লোরিডায় এই ড্রাগ আক্রান্ত হয়েছে ১৫০র ও বেশি মানুষ, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ড্রাগ নিয়ে চিন্তায় আমেরিকা সরকার। নিউইয়র্ক টাইমসে এই ড্রাগ নিয়ে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে। ‘জাইলেজাইন’ নামক একটি ওষুধ ‘জম্বি ড্রাগ’ নামে পরিচিত। এই ড্রাগ বেশি মাত্রায় নিলে মৃত্যুও ঘটতে পারে মানুষের।
গরু বা ঘোড়াকে অচেতন করার জন্য ব্যবহার হয় এই ওষুধের। তবে এই ওষুধ এখন মানুষ সেবন করছে। মার্কিন বাজারে ঘোরাফেরা করছে এই ওষুধ। যা নিষিদ্ধ ড্রাগ হিসেবেই পরিচিত এখন। জাইলেজাইন দিয়েই তৈরি হচ্ছে ফেন্টানাইল। এই ড্রাগ সেবন করলে মানুষ জম্বির মত আচরণ শুরু করে। কেউ গোঙাতে শুরু করে, কেউ আবার একেবেকে হাঁটেন।
দুএক দিন পরপর ব্যবহার করলে তা নেশায় পরিণত হয়। এই ড্রাগ নিলে ত্বকের নানারকম সমস্যাও দেখা যায়। জাইলেজাইন বেশি মাত্রায় নিলে ঝিমুনি ভাব শ্বাস জনিত সমস্যাও দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ত্বকের সমস্যা বেশি মাত্রায় হলে তা অপারেশন করে বাদ পর্যন্ত দিতে হতে পারে।
অরেঞ্জ কাউন্টার শেরিফ জন মিনা জানিয়েছেন ৮০% ফেন্টানাইল জাইলেজাইন থেকেই তৈরি হয়েছে। ‘ইউ এস ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ মনে করছে জাইলেজাইন ও ফেন্টানাইল একসাথে করে এমন কম্বিনেশনের ড্রাগ তৈরি হয়েছে যা এযাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রাগ। ২০২২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী আমেরিকার ৩৬ টির ও বেশি জায়গায় থেকে উদ্ধার হয়েছে এই মারণ ড্রাগ। বর্তমানে এটি ব্যবহারের ওপর বিধি ও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত করেছে আমেরিকা সরকার।