যুব তৃণমূলের নতুন কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হল দেবাংশুকে। তরুণ প্রজন্মের এক অন্যতম মুখ দেবাংশু ভট্টাচার্য। কেন বাদ দেওয়া হলো তাকে? এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে শোরগোল শুরু হয়ে গেছে।
তারপরই তাঁর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, লেফট অল জব অ্যাট অল ইন্ডিয়া ইয়ুথ তৃণমূল কংগ্রেস। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব ছাড়লাম। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি যুব কমিটিতে জায়গা না পেয়ে অভিমানী তরুণ তুর্কি দেবাংশু? না কি পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের মূল সংগঠনে কোনও বড় দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি? জবাব এখনও অধরা। পরে অবশ্য নিজের পোস্টটি মুছে দেন তিনি। বদলে মনখারাপের ইমোজি পোস্ট করেন।
এদিকে ফেসবুক পোস্ট করার পর দেবাংশুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমায় শুধু যুব কমিটিতে রাখা হয়নি। এখন আমি শুধু দলের মুখপাত্র। তবে এর সঙ্গে দল ছাড়ার কোনও বিষয় নেই।” তাঁর আরও বক্তব্য, “বাকিটা দলের সিদ্ধান্ত। দল যা সিদ্ধান্ত নেয় নিয়েছে। আমি একদিন কোনও সংগঠনেই ছিলাম না। এখন দলের মনে হয়েছে যুব সংগঠনে আরও অন্য মুখ দরকার।”
তাহলে কি দেবাংশু ক্ষুব্ধ, হতাশ? দল ছাড়বেন? প্রশ্নের জবাবে তাঁর স্পষ্ট উত্তর, “মূল সংগঠনে যাওয়ার বিষয়ও এখনই নেই। দল আমায় কীভাবে কাজে লাগাতে চায় আমি জানি না। ক্ষোভের কোনও জায়গা নেই। বিষয়টা নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। অনেকে জানতে চেয়েছে। তবে যারা সরিয়েছে তারাই বলতে পারবে বাকিটা।” যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, দেবাংশুর গলায় ক্ষোভ, হতাশার সুর স্পষ্ট।
এদিন তৃণমূলের যুব কমিটির নয়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যুব তৃণমূলের সভাপতি রয়েছেন সায়নী ঘোষই। গুরুত্ব বেড়েছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সন্তানের। রয়েছেন সৌম্য বক্সি, পূজা পাঁজা, সায়নদেব ভট্টাচার্যরা। এর মাঝেই বাদ পড়েছেন দেবাংশু। এবার তিনি দলের মূল সংগঠনে দায়িত্ব পান কি না সেটাই এখন দেখার।
যদিও, কিছুক্ষণ আগেই দেবাংশু তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে তার নিজস্ব বক্তব্য পেশ করেছেন ।