যৌনকামনা একেক জনের একেক রকমের হয়ে থাকে। শারীরিক সুখ নিয়ে সব ধরনের মানুষেরই আগ্রহ অনেক বেশি থাকে। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন বদলাচ্ছে যৌনতার সংজ্ঞা। যৌনতাকে অনেকেই ফ্যান্টাসি হিসেবে তুলে ধরছেন। যৌনতা এমনই একটা জিনিস যা নিয়ে অনেকেরই অনেক ভাবনা রয়েছে, তাই বলে যৌনতা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট এটা শুনলেই যেন গা-টা শিউরে উঠে। বিষয়টা শুনলে অবাক হলেও এটাই উঠে এসেছে সমীক্ষায়। যত দিন যাচ্ছে মেয়েদের চাহিদা ক্রমশ কমছে। আর সেই চাহিদা পূরণ করতে মার্কেটে হাজির ‘সেক্স টয়’।
অরিজিনালিটি থেকে কৃত্রিমের প্রতি ঝুঁকছে জেনওয়াইরা। তবে সেক্স টয় ছেয়ে গেছে বাজারে । কোনও ওষুধের দোকান কিংবা অত্যাধুনিক শপিং মলে অনেকে কন্ডোম কিনতে দ্বিধা বোধ করেন, তাদের মধ্যে সেক্সটয় কেনাটা অনেকটাই ঝক্কির বিষয়। তবে অনলাইনে থাকতে চিন্তার কোনও বিষয় নেই। এমন একাধিক সাইট রয়েছে, যেখানে অনায়াসেই নিজের শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য সেক্সটয় কিনতে পারবেন তাও আবার গোপনে।
যৌনজীবন সুখকর করে তুলতেই সেক্স টয় ব্যবহার করা উচিত। সেক্স টয় ব্যবহার করার মধ্যে কোনও রকম অন্যায় নেই। যৌনতার সময়ে আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী করতে এবং যৌনমিলন সুখকর করে তুলতেই আজকাল দম্পতিদের সেক্স টয় ব্যবহার করতে বলছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে জি-স্পট ম্যাসাজার, রয়্যাল ওয়ান ব্লু রিং—এসবও রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধুমাত্র অবিবাহিতদের জন্যই সেক্স টয়, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন। দম্পতিদের যৌনজীবনও অনেকাংশে সুখের হয় এই সেক্স টয়ের গুণে।
২০১৭ সালে দুনিয়া জুড়ে সেক্স টয় বিক্রি হয়েছে ১৮ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডেরও বেশি অঙ্কের অর্থের।
ব্যাঙ্গালুরুর একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেকনাভিও’র বিশ্লেষক যশুয়ার মতে, “এটি সবচেয়ে দ্রুত বাজার করে নিচ্ছে ভারত এবং চীনে।”
যদিও ভারতের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে সেক্স টয় জনসম্মুখে বিক্রি করা যাচ্ছে না বা এর দোকান দিতে পারছেন না, তবুও ই-কমার্স বা ইন্টারনেটের বিস্তার এগুলো কেনা এখানে সহজ করে দিয়েছে – এমনটাই মত মি. যশুয়ার।
সেক্স টয়-এর ক্ষেত্রে ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে ইউরোপীয়রা মার্কিনিদের থেকে এগিয়ে এমন পরিসংখ্যান টেকনোভিও’র।
মি. যশুয়া বলছেন, “কিছু জরিপে দেখা যাচ্ছে যে ইতালির অন্তত ৭০% নারী পুরুষ এই যৌন খেলনা ব্যবহার করছে।”
বর্তমানে কৃত্রিমের প্রতি ঝুঁকছে জেনওয়াইরা। গবেষণাতেও দেখা গেছে দেশের বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েরাই এই কৃত্রিম বস্তুর প্রতি অনেক বেশি আসক্ত। এমনকী অনলাইন সার্চেও হু হু বেড়ে যাচ্ছে এই কৃত্রিম জিনিসের চাহিদা। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে আসক্ত হয়ে পড়ছে এই সেক্স টয়ের উপর। যদি দামের জন্য অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছে। তবু তাদের নিয়ে আগ্রহ যেন ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। তবে কোথা থেকে এই সেক্স টয় কিনবেন, তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।
অ্যাডাল্ট প্রোডাক্স ইন্ডিয়া নামের এই অনলাইন সাইটটিতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সেক্স টয় কিনে নিতে পারবেন। এখানে কার্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে। নির্বাচন করে রেখে দিয়ে পরে অর্ডার দিতে পারবেন। প্রিভি প্লেজার্স এটি হল আরেকটি অনলাইনের ঠিকানা, যেখানে নিজের পছন্দমতো সেক্স টয় যেমন কিনে নিতে পারবেন তেমনই সুন্দর অন্তর্বাসও অর্ডার দিতে পারবেন। সেক্স টয় কেনার অন্যতম একটি সাইট হল বেশরম। নামের মধ্যেই যেন দেশি ব্যাপার রয়েছে। নারী ও পুরুষরা বিভিন্ন ধরনের সেক্স টয় এবং কাপল সেট কিনে নিতে পারবেন এই সাইট থেকে। যারা অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সেক্স টয় ব্যবহার করতে চান তারা লাভ ট্রিটসে দেখতে পারেন। এই সাইটের দাবি এদের সমস্ত প্রোডাক্ট সিই সার্টিফায়েড। এছাড়াও নটি নাইটস থেকে নিজের পছন্দের সেক্স টয় কিনে নিতে পারবেন। এদের সবচেয় বড় সুবিধা হল এই সাইটে ক্যাশ অন ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে।