প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় , এই নাম টাই বর্তমানে বাঙলা তথা দেশ বাসীর কাছে বেশ সম্মানের । বিখ্যাত অভিনেতা বিশ্বজিত চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে এবং বহু বছর ধরে তিনি বাঙলা সিনেমার নায়ক। টলিঊডে তো কথাই আছে প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় মানেই ”ইন্ডাস্ট্রি’। অগুনতি বাঙলা ছবি তে তাকে অভিনয় কোরতে দেখেছে বাঙালী। বর্তমান উঠতি নায়ক / নায়িকা বা অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে প্রায় সব শিল্পীরাই প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় কে নমস্য জায়গায় রাখেন কারণ তাদের সকলেই মনে রাখতে হয় প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় মানেই ”ইন্ডাস্ট্রি”। অনেক টা মুম্বাই ফিল্ম ”ইন্ডাস্ট্রি’র সালমান খানের মত। এছাড়াও তিনি বূম্বা নামেও খ্যাত।
এমনিতেই প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এর মৃত্যুর পরে এবং আগেও স্বয়ং অভিষেক চট্টোপাধ্যায় নিজেই বহু মিডিয়ার সামনে বলে গেছেন প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়- র ঈশারা তেই কি ভাবে তার কেরিয়ারে অন্ধকার ণেমে এসেছিল। যতদিন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় জীবিত ছিলেন ততদিন এই অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ও , অভিষেক চট্টোপাধ্যায়-র এই অভিযোগ নিয়ে কোন দিন মুখ খোলেননি । তবে শুধু প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় নয়, এই একই অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন অভিনেত্রী শ্রী লেখা মিত্র পর্যন্ত। তবে আমাদের প্রসঙ্গ এটা নয়, এটা ট্রেলার ছিল।
বাঙলা আর বাঙালীর এই আইকন অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়, যিনি একাধিক সরকারী ও বেসরকারি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তাকে বাঙালী মনে রেখেছেন একজন রোম্যান্টিক বা আবার কখনো একজন অ্যাকশন হিরো হিসাবে । তার বেশ কিছু বেতালা নাচ দেখেও বাঙলার সিলভার স্ক্রিনে কম ধুলো ওড়েনি। তারপর তো আছে মাচা কাঁপানো ।
তবে তিনি এখানেই থেমে থাকেননি , বাঙলার সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন, বিবেকবুদ্ধির জাণলা দরজা বন্ধ করে ঘুমন্ত বাঙালীর ঊটকো ঝামেলায় না জড়ানোর রীতির সুযোগ নিয়ে তিনি কখনো করেছেন ”দাদা’ নামের সস্তা মদিরার বিজ্ঞাপন যা এখণ অতীত আবার বর্তমানে তিনি একটি অনলাইন বেটিং বা জুয়া খেলার বিজ্ঞাপন করছেন যা ছোট পর্দা থেকে ইউটিউবে পর্যন্ত সর্বদা এই শিক্ষিত বেকার, নিঃস্ব বাঙালী যুবক দের উৎসাহিত করছে অনলাইন জুয়া খেলতে এবং আরও তলিয়ে যেতে।
শুধু অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় একা নন সঙ্গে আছেন আমাদের দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ভারতের যুব সমাজের অন্যতম আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং নিজে । ইনিও অনলাইন বেটিং বিজ্ঞাপন করে চলেছেন।
আপনাদের অনেকেরই জানা এই অনলাইন বেটিং বেআইনি ও কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। বাঙলার গ্রাম গঞ্জে বা শহরতলী তেই বহু মানুষ এই প্রচারে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনের সব অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন বা আত্মহত্যা কোরতে বাধ্য হয়েছেন সে খবর কি বূম্বা দা বা দাদা রাখেন ?
দাদার ”দাদা গিরি” র গুগলি আর অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের ” গভীরে যাও , আরও গভীরে যাও” এর মানে কি দেশের যুব সম্প্রদায়ের আইকন হয়ে বাঙালী যুব সমাজ বা দেশের যুব সমাজ কে তলিয়ে যেতে উৎসাহিত করা ?
বাঙলার এই দুই দাদার কি আর্থিক সচ্ছলতা এতো টাই খারাপ যে এই জাতীয় বিজ্ঞাপন করে তাদের সংসার চালাতে হবে ?
মুম্বাই তে শাহরুখ খান, অজয় দেবগণ ও অক্ষয় কুমার একটি গূটখা কোম্পানির বিজ্ঞাপন করার জন্য দেশ জূড়ে প্রতিবাদ হয়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করাও হয়েছিল । যার ফলে এই তিন নায়ক কেই অফিশিয়ালি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল।
তাহলে বাঙলার এই দুই ”দাদা-র” বিরুদ্ধে কেন প্রতিবাদ হবে না ? কেন এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে না ?
জাগুন , উঠুন আর আমাদের জানান আপনাদের মতামত ।