বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে নির্দয় ও নিষ্ঠুর একটি গ্রহ শনি। শনির বক্রদৃষ্টি কারোর উপর পড়লে সেই জাতকের জীবনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। শনি ও রাহু-কেতুর এই তিন গ্রহের নাম শুনলেই মানুষের মনে অতন্ত্য আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। কারণ এই গ্রহদের জ্যোতিষে অশুভ বলে মানা হয়েছে। এরা যে কোনও মানুষের জীবন তছনছ করে দিতে পারে। তাই কুণ্ডলীতে শনিদোষ বা রাহু-কেতুর সঙ্গে যুক্ত কোনও দোষ থাকলে তা দ্রুত উপায় করে নেওয়া উচিত। এই গ্রহদের অশুভ নজর আপনার আজীবনের উপার্জন, সম্মান, সম্পর্ক এক মুহূর্তে শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। জীবনের সব দিক সমস্যায় ভরে যায়। যদি আপনিও এই গ্রহদের শান্ত করে রাখতে চান তবে আপনাকে একটা কাজই করতে হবে।
এই তিন গ্রহের প্রভাব যতই ভয়াবহ হোক না কেন, জ্যোতিষ অনুসারে কয়েকটি টোটকা মেনে চললে এদের শান্ত রাখা সম্ভব। অনেক সময় সঠিক ভাবে না জানার জন্য আমরা সঠিক কাজ সঠিক সময়ে করে উঠতে পারি না। সেই কারণে জীবনে সমস্যা পিছু ছাড়ে না। কিন্তু জানেন কি, পশুদের সেবা করলেও এই তিন গ্রহের অশুভ প্রভাব অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হয়।
তিন গ্রহকে অর্থাৎ শনি ও রাহু-কেতুকে শান্ত করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল বাড়িতে কুকুর পোষা। আর যদি কুকুরের রঙ কালো হয় তবে তো সোনায় সোহাগা। কালো রঙের কুকুর বাড়ির নেতিবাচক ক্ষমতা দূর করে ও বাড়িকে খারাপ নজরের হাত থেকে বাঁচায়। কুকুর পুষলে শনি ও কেতু গ্রহ শান্ত থাকে এবং ভালো ফল প্রদান করে।
কুকুর পোষা সম্ভব না হলে রাস্তার কুকরকে রুটি খাওয়াতে পারেন। কুকুরদের খাবার দিলে আর তাদের সেবা করলে শনিদেব প্রসন্ন হন। বিশেষ করে যাদের কুণ্ডলীতে শনি অশুভ অবস্থায় রয়েছে বা যাদের শনির মহাদশা-সাড়েসাতি, ধাইয়া চলছে। এই মানুষদের কুকুরকে ভোজন করানো অবশ্য উচিত। এর সঙ্গে কুকুরদের নিয়নিত সেবাও করা উচিত। এতে শনির কারণে আসা সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।