পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ বাংলার সবথেকে জনপ্রিয় এফ এম চ্যানেল রেডিও মির্চি। মির্চি পরিবার বাঙালির কাছে অন্যতম প্রিয় শান্তির জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। সেই মির্চি পরিবারে ভাঙন ধরেছিল অনেক বছর আগেই। কিন্তু গত শনিবার তার অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভটিও ভেঙ্গে পড়ল। ভাঙন শুরু হয়েছিল ইন্দ্রাণী চক্রবর্তীর হাত ধরে তারপর মির্চি অয়ন্তিকা, এমনকি সেই পরিবারের সবথেকে শক্তিশালী স্তম্ভ মীর মির্চি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ভেঙ্গেই গেছিল পরিবার। তারপর মির্চি সোমক, মির্চি অগ্নি, দীপাঞ্জন বসু সেই পরিবারটি আঁকড়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এখন মির্চি সোমকের মির্চি ছেড়ে দেওয়া যেন কফিনে শেষ পেরেকের মত? একে একে সবাই বিদায় নিচ্ছে মির্চি ছেড়ে, তবে কি মির্চি কর্তৃপক্ষেই রয়েছে কোন সমস্যা?
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সোমক তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে তার একটি পুরনো ছবি পোস্ট করে মির্চি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায়। গত শুক্রবার বিকেল ৪ টের সময় মির্চিতে তার শেষ অনুষ্ঠান করার কথা জানায়। সেই দিন থেকেই দর্শকদের মন ভারাক্রান্ত। শুক্রবার মির্চির সকলেই তাকে নিয়ে বিদায়ের পোস্ট দিচ্ছে, তার বিখ্যাত চরিত্র সরলা সেই নিয়ে একটি কেক কেটে তাকে বিদায় দেয় মির্চি পরিবার।
মির্চি ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, এক বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যমকে সোমক জানায় রেডিও জকি হিসেবে তার সব কাজ করা হয়ে গেছে তিনি এখন নতুন কিছু শুরু করবেন বলে ভাবছেন। মির্চি কর্তৃপক্ষ কি কোন রকম চাপ সৃষ্টি করে তাদের ওপর? নাহলে সবাই কেন মির্চি ছেড়ে দিচ্ছে? যদিও এখন সোমক বা আগে মীর কেউই এমন কোন অভিযোগ করেনি মির্চির বিরুদ্ধে। কিন্তু সব যদি ঠিকই থাকে তাহলে সবার এমন ছেড়ে যাওয়া কেন?
এরা কি কেউ শ্রোতাদের কথা ভাবে না? মির্চি দীপও মির্চি ছেড়ে দেবে শোনা গেছিল তারপর দেখা যায় সে আর জে র কাজ ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু মির্চির সবথেকে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সানডে সাসপেন্স’ এ তিনি কাজ করে চলেছেন। মীরের ছেড়ে যাওয়ার সময় শ্রোতারা তেমনটাই আশা করেছিলেন কিন্তু তা হয়নি। এখনও একটাই প্রশ্ন ‘সানডে সাসপেন্স’ বা ‘প্রেম ডট কম’এ ও কি আর শোনা যাবে না সোমককে? বাবুর বাবা তো আগেই গেছে বাবুর মাও চলে গেল। এখন বাবুকে কে সহ্য করবে?