পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আজ তিলোত্তমার জন্মদিন, ৩৩৩ তম জন্মদিন। ১৬৯০ সালে জব চার্নক সুতানুটি, গোবিন্দপুর এবং কলকাতা নামক তিনটি গ্রাম নিয়ে কলকাতা শহর পত্তন করেন।
গঙ্গা তীরবর্তী গোবিন্দপুর বা তন্তুবায়ীদের বাসস্থান সুতানুটি অঞ্চল নিয়ে কলকাতা সেদিন পত্তন হলেও কলকাতার ব্যাপ্তি বিশাল। শুধুমাত্র ভৌগলিক অবস্থান দিয়ে কলকাতার ব্যপ্তি ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। কলকাতা ব্যাপ্তি একটা শহর, নগর, জেলা, রাজ্য দেশ ছাড়িয়ে মানুষের মনের মধ্যে। কলকাতার প্রকৃত অবস্থান বাঙালির মন।
কল্লোলিনী তিলোত্তমা City of Joy প্রতিটি নামই তার জন্য মানানসই। কলকাতা শুধু আনন্দের শহর নয় কলকাতা ভালোবাসার শহর। আজও কলকাতার রাস্তায় চোখ রাখলে দেখা যায় কলেজস্ট্রিটে হাত ধরে হাঁটা, বা ভিক্টোরিয়ার মাঠে বসে থাকা কিমবা প্রিন্সেপ ঘাটে নৌকার ওপরে বসে থাকা একদম দামাল কলকাতা প্রেমীদের।
হ্যাঁ তারা সকলেই কলকাতা প্রেমী। কলকাতা সাক্ষী সেই সমস্ত মানুষগুলোর সফলতার, ব্যর্থতার, আনন্দের, গৌরবের বা অপমানের। তারাও আনন্দে ভালোবেসে আঁকড়ে ধরে কলকাতাকে আবার কান্নায় ভেঙে পরে কলকাতারই বুকে।
তিলোত্তমা নিজে বাঙালির মনের মধ্যে জড়িয়ে থাকলেও, বাঙালির চিরন্তন বিতর্কগুলোও তৈরি হয় কলকাতার বুকে। উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যে ভরা বনেদিয়ানা তার পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার নতুনত্বে ভরপুর আধুনিকতা এই বিতর্ক তো লেগেই আছে। এর পাশাপাশি মোহনবাগান- ইস্ট বেঙ্গল, চিংড়ি-ইলিশ, উত্তম-সৌমিত্র, পিকে-চুনি এই আবেগে ভরা বিতর্ক সবতো তিলোত্তমাকে ঘিরেই আবর্তিত।
তাই তো রাজ্য ছেড়ে বা দেশ ছেড়ে বাঙালি জেখানেই যাক না কেন কলকাতা তার বুকের মাঝেই আছে। তাই তো মফসলের কিশোর ছেলে মেয়েগুলোর চোখে স্বপ্ন কলকাতায় গিয়ে থাকব। তাই কলকাতার বয়স যাই হোক কলকাতা চিরকাল চির আধুনিক, চির সময়োপযোগী এবং চির সবুজ