দেখতে দেখতে পঁচিশ বছর কেটে গেল আর্টিস্টস ফোরামের। আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে পথ চলা শুরু হয়েছিল আর্টিস্টস ফোরামের। যারা টলিউড চলচিত্র জগতের সাথে তাদের অভিনয়, বাচিকতা, নৃত্য পরিচালনা ইত্যাদি নানান প্রতিভা দিয়ে পেশাগত ভাবে জড়িত, নবীন থেকে প্রবীন তাদের সকলের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে সব শিল্পীদের স্বার্থেই এই প্ল্যাটফর্ম লড়াই করবে। শিল্পীদের সাথে অনৈতিক ভাবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করানো, বা সঠিক পারিশ্রমিক সঠিক সময়ে না দেওয়া থেকে শুরু করে দুর্ব্যাবহার সব কিছুর প্রতিবাদ করে এই আর্টিস্টস ফোরাম।
শিল্পীদের প্রতি, বিগত পঁচিশ বছর ধরে, আর্টিস্টস ফোরাম অনেকটাই বন্ধ করেছে প্রযোজক থেকে প্রযোজনা সংস্থার এই সব অনৈতিক দূরাচার। শুধুমাত্র চলচ্চিত্র জগতের অনিয়মের বিরুদ্ধেই নয়, আর্টিস্টস ফোরাম করোনা কালের কঠিন লকডাউনের সময় পাশেছিল প্রতিটি ছোট শিল্পীদের পাশে। চিকিৎসা, খাদ্য দ্রব্য থেকে আর্থিক সাহায্য সব কিছ নিয়েই পাশেছিল আর্টিস্টস ফোরাম। এছাড়াও বছরে বেশ কয়েকবার রক্তদান শিবির আয়োজন করা থেকে শুরু করে নানান সামাজিক দায়বদ্ধতা মেনে চলে আসছে এই আর্টিস্টস ফোরাম।
এদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন টালিগঞ্জের বড় থেকে ছোট সব অভিনেতা অভিনেত্রীরাই। রাজনৈতিক মতাদর্শ কে দুরে সরিয়ে রেখে হাজির ছিলেন জর্জ বেকার, দিপঙ্কর দে, রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, বরুন চন্দ, অর্পিতা বেকার, অপরাজিতা আঢ্য, সোমা দে, অনামিকা সাহা, কৌশিক সেন, জুন মালিয়া, কুশল চক্রবর্তী, শংকর চক্রবর্তী, ভরত কল, দিগন্ত বাগচি সহ আরো অনেকে।
এদিন এই অনুষ্ঠানে স্মৃতি চারনা করতে গিয়ে আবেগে ভাসলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, – “পঁচিশ বছর আগে তার বাড়ির ছাদেই পথ চলা শুরু করেছিল এই আর্টিস্টস ফোরাম। আজ আমার ছেলে মিশুকেরও পঁচিশ বছর বয়স হয়েগেল। সে আগে বলতো তার ইচ্ছা স্পোর্টস জগতে থাকবে কিন্তু এখন সে বলছে অভিনয় করবে। সময় কখন পার হয়েগেল তা বোঝাগেলনা। আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে এই আর্টিস্টস ফোরামের প্রয়োজন অনুভব করেছিলাম যা আজ দেখতে দেখতে পঁচিশ বছর অতিক্রান্ত।” প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানান সাথে সাথে নবাগতদের আর্টিস্টস ফোরামের সাথে যুক্ত হতে বলেন সাথে সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সংগঠন কে এগিয় নিয়ে যাবার আবেদন রাখেন।
কিন্তু আবেগী এই অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন বর্তমান বাংলা চলচ্চিত্রের দুই মহানায়ক। দেব ও জিত। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কে মিষ্টার ইন্ডাস্ট্রি বলা হলেও বর্তমানে বাংলা চলচ্চিত্রের হাল ধরে রেখেছেন দেব অধিকারী। যদিও সাম্প্রতিক তার রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে শুরু হয়েছে বেশ কিছু গুঞ্জন। আর অন্যদিকে বাংলা কমার্শিয়াল চলচ্চিত্রের একমাত্র নায়ক জিত কেও এদিনের অনুষ্ঠানে দেখাগেলনা। একাধিক হিটের পর সেই ভাবে জিতের কোন সিনেমা এখন নেই। ব্যাস্ততার কারন জানা নেই তবে কেন আর্টিস্টস ফোরাম থেকে এই দুরত্ব বজায় তা অজ্ঞাত থেকে গেলেও প্রশ্ন জাগছে অনেকের মনেই।