৩০শে অক্টোবর, ২০২২, মহুল আবৃত্তির ব্যান্ড-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সুকুমার রায়ের ১৩৫ বছরের জন্মদিন উদযাপন করল নব নালন্দা স্কুল। স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে ছোটদের সঙ্গে সমানভাবে অংশ নিলেন কয়েকজন বিখ্যাত মানুষও।
সুকুমার রায়ের গান-কবিতা-শ্রুতিনাটকে সাজানো এই অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ শাঁওলী মজুমদারের কণ্ঠ সহ মহুল আবৃত্তির ব্যান্ড-এর পারফরমেন্স। ব্যান্ড সংস্কৃতির সঙ্গে যে সুকুমার রায়ের কবিতাকে ওতপ্রোতভাবে মিশিয়ে নেওয়া যায়, এখনও তার এক এবং একমাত্র নিদর্শন মহুল। ‘দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম’, ‘আয়রে ভোলা’, ‘খাই খাই’, ‘হুঁকোমুখো হ্যাংলা’ সহ পাঁচটি কবিতার ডালি সাজালেন শাঁওলী আর তাঁর ব্যান্ড।
সুকুমার রায়ের লেখা ‘চলচ্চিত্ত চঞ্চরি’র বাছাই করা অংশ নিয়ে অনবদ্য এক শ্রুতিনাটক উপস্থাপন করলেন মলয় ঘোষ, আকাশ পাত্র, স্পন্দন দাশ এবং কিঞ্জল চক্রবর্তী। সেই সঙ্গে আবোলতাবোল-এর ছড়া শোনাল অভিরাজ, বিলাস, মৌলিক, সপ্তর্ষি এবং প্রিয়ব্রত।
একেবারে অজানা, অচেনা, বিরল সব গল্পের রসদ নিয়ে এসেছিলেন প্রখ্যাত গবেষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। আর তাঁর গল্প মানেই চমকে ওঠার মতো সব ঘটনা। সুকুমারের শব্দ দিয়ে কষে জব্দ করার মতো খেলা নিয়ে হাজির ছিল শব্দবাজি-ও।
সুকুমার রায় মানে সবটাই কেমন হযবরল, তাই না? হ্যাঁ, সেই বিখ্যাত রচনার অংশ শ্রুতিনাটকে নিয়ে এল নব নালন্দা স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে ছোটদের আবৃত্তি তো ছিলই। কাব্যায়নের ছাত্রছাত্রীদের ছড়াও বেশ উপভোগ্য। নব রবিকিরণ-এর শিল্পীদের সুকুমার-সঙ্গীতও মনে রাখার মতো। গোটা অনুষ্ঠানটি নিজেদের কথা দিয়ে গাঁথলেন স্পন্দন দাশ, সায়নী মজুমদার এবং আরাত্রিকা দে।
আমন্ত্রিত অতিথি, সংবাদমাধ্যম এবং সুকুমার অনুরাগীদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে মহুল আবৃত্তির ব্যান্ড এবং নব নালন্দা স্কুলের এই সুকুমার উৎসবের সন্ধ্যা উজ্জ্বল হয়ে রইল।