পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ গান্ধীজির লবণ সত্যাগ্রহর কথা জানে না এমন ভারতীয় নেই। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে গান্ধীজী নুনকে বেছে নিয়েছিলেন, নুনের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই। নুন এমন একটি জিনিস যার কোনও বিকল্প নেই। নুন ছাড়া স্বাদ বিস্বাদ হতে সময় লাগে না। হ্যাঁ নুন এতটাই প্রয়োজনীয় সেই সৃষ্টির আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত, বা ভবিষ্যতের সকল সময়ে। তাই নুনের গুরুত্ব সবসময়ই বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।
বিশ্বের বহু দেশে লবণ বাণিজ্যের বহু গল্প ছড়িয়ে রয়েছে। তবে প্রাচীনকালে নুনের মুল্য এত বেশি ছিল যে, সৈন্যদের বেতন হিসেবে মুঠোভর্তি নুন দেওয়া হত। এবং তাতে তাদের খুশির অন্ত ছিলনা। প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্টপূর্বাব্দেরও অনেক আগে এই প্রথা চালু ছিল। সৈন্যরা রোজ কাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় তাদের বেতন ছিল এই নুন। এমনকি লবণ বিনিময়ের মুদ্রা হিসেবেও প্রচলিত ছিল সেই সময়।
বেতনের ইংরেজি প্রতিশব্দ Salary শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা Salarium থেকে। যার অর্থই হচ্ছে ‘লবণের আকারে অর্থ প্রদান’। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে লবণের গুরুত্ব কতটা ছিল সেযুগে। লবণ থেকেই বেতনের শুরু। বাংলার প্রচলিত প্রবাদ, ‘নুন খেয়ে গুণ গাওয়া’ সেই প্রবাদের জন্ম এই লবণের গুরুত্ব থেকেই।