পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আজকের যুগের যুবসমাজের অনেক মানুষকেই দেখা যায় তাদের বিয়ের প্রতি একটা অনীহা দেখা যাচ্ছে। কোনও রকম সম্পর্কে বা বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইছেন না তারা। বৈবাহিক সম্পর্ক মানে তো শুধু বিয়ে বা দায়িত্ব নয়, এক সাথে থাকা মানিয়ে নেওয়া অ্যাডজাস্টমেন্ট সবকিছু। আর এইসবের মধ্যে সমস্যা হলেই দেখা যাচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, ফলস্বরূপ বিবাহবিচ্ছদের পরিমাণ বাড়ছে। কিন্তু প্রেমে তো পড়ছে তারা ভালোওবাসছে কিন্তু বিয়েতে আপত্তি। এই সমস্ত সমস্যার কারনেই বিবাহ বহির্ভূত একসঙ্গে থাকা বা লিভ টুগেদারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু যদি এমন হয় বিয়ে করছেন কিন্তু স্বামী- স্ত্রীর সাথে ঘর করতে হচ্ছে না তাহলে? তখনও কি বিয়ের প্রতি বিরুপ হয়ে থাকবে যুব সমাজ?
হ্যাঁ ঠিকই বলছি, বিয়ে করেও আলাদা থাকা সম্ভব। এই অভিনব বিয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে জাপান। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়ই নিজেদের বাড়িতে নিজেদের মত থাকবেন, যে যার নিজের কাজ করবেন। এবং সপ্তাহান্তে একদিন তারা একসঙ্গে থেকে ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটাবেন। এই বিয়ের পোশাকি নাম ‘সেপারেশন ম্যারেজ’। না ‘ম্যারেজ সেপারেশন বা বিবাহ বিচ্ছেদ’ নয়, ‘বিচ্ছেদে বিবাহ’। সপ্তাহভর আলাদা থাকার সর্তেই বিয়ে করছেন তারা। এমন বিয়ে জাপানে এখন আইন সিদ্ধ। তবে হ্যাঁ বিবাহ সম্পর্কিত সমস্ত দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হবে উভয়কেই। সে বিষয়ে গাফিলতি সহ্য করবে না সরকার।
এই বিয়ের স্বীকৃতির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব কমবে। অ্যাডজাস্টমেন্ট বা মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন থাকবে না, সময় দেওয়া নিয়ে অভিযোগও থাকবে না একে ওপরের প্রতি। ওই একটি দিন শুধু নিজেদের। এর ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমাণ করবে বলেই মনে করছে জাপান সরকার। জাপানে এখন এই প্রথা বহুল প্রচলিত। তবে সারা পৃথিবীতে যেভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং বিয়েতে অনীহা বাড়ছে তাতে আশা করা যাচ্ছে কিছু বছরের মধ্যে এই প্রথা অবলম্বন করবে সমস্ত দেশই। সেক্ষেত্রে আলাদা থেকে কোয়ালিটি টাইম কাটানোই হয়তো হয়ে উঠবে নতুন ট্রেন্ড।