কলকাতা- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়। মেইন হস্টেলের তিন তলার বারান্দার কোণ থেকে উদ্ধার হয়েছে নীল রঙের হাফ প্যান্ট এবং গেঞ্জি। পুলিশ সূত্রে খবর, পোশাকগুলি মৃত ছাত্রের বলে দাবি করেছেন অর্থনীতি বিভাগের এক পড়ুয়া। ওই পোশাক সত্যিই ছাত্রের কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গতকাল দিনভোর জিজ্ঞেসাবাদের পর রাতে গ্রেফতার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষ। মেইন হস্টেলের গেট বন্ধ করে দেওয়া ও পুলিশকে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেয়েই জয়দীপ অ্যান্ড আদার্স নামে এফআইআর দায়ের করেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনার পরে জিবি বৈঠকেও জয়দীপ উপস্থিত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছে পুলিশ। আবাসিক না হয়েও ওই দিন হস্টেলে কী করছিলেন ওই প্রাক্তনী?এই বিষয়টি ঘিরেই সন্দেহ বাড়ছে পুলিশ আধিকারিকদের মনে। তবে ছাত্রমৃত্যুতেও কী রয়েছে জয়দীপ যোগ? তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত,ঘটনার দিন রাতে মেইন হস্টেলের গেট বন্ধ রাখার পাশাপাশি পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের র্যাডারে আরও তিন পড়ুয়া। ঘটনার দিন রাতে কারা ঘটনার পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেন, জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তিন জনকে। কার নির্দেশে সেদিন পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়েছিল এবং গেট কারা বন্ধ করেছিল খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
অন্যদিকে, যাদবপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু (Jadavpur University Student Death) ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন ১২ জন প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় ধৃত সৌরভ-সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে জেরা করেন খোদ কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সূত্রের খবর, রবিবার জিজ্ঞেসাবাদের পর সেই বয়ানেও মিলেছে একাধিক অসঙ্গতি। ধৃত সৌরভ চৌধুরী, অঙ্কন সর্দার, নাসিম, হিমাংশু ও সত্যব্রতকে জেরা করেন কমিশনার নিজেই।