হিরো আলম কে চেনেন না এরকম মানুষ মনে হয় পাওয়া মুশকিল। বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত ইউটিউবার এবং যার এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ্য ফোলোয়ার আছে।
হিরো আলম যার মূল কাজ ছিল বাংলাদেশে নানান সিনেমা ও গানের নকল সিডি বিক্রি করা, আর সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেই কয়েকটি ভারতীয় হিন্দি সিনেমার গান কে ভিডিও এ্যালবাম করে প্রকাশ করেন সেখানে নিজেকে ”হিরো” র চরিত্রে রেখে। সেই ভিডিও এ্যালবাম সামাজিক মাধ্যমে মারাত্মক রকমের ভাইরাল হয়। নেট দুনিয়া বাসীর কাছে চরম হাসির খোরাক হলেও তিনি পরিচিত হয়ে যান হিরো আলম নামে। তার রোগা স্বাস্থ্য ও তার মুখশ্রী নিয়ে নেটিজেন-রা চরম সমালোচনা করলেও সেই সমালোচনা কেই অনুপ্রেরণা হিসাবে নিয়ে তিনি একের পর এক হিট হিন্দি গানে নিজেকে নায়কের চরিত্রে রেখে ভিডিও এ্যালবাম প্রকাশ কোরতে শুরু করেন। এতে তার নেতিবাচক প্রচার আরও বেড়ে যায় আর এটাকেই তিনি হাতিয়ার করে হিরো আলম এরপর শর্ট ফিল্ম ও কোরতে থাকেন।
এই খ্যাতির বিড়ম্বনার ( কুখ্যাতি ) জন্য তার সাক্ষাৎকার বেরোতে শুরু করে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও বাংলাদেশ টেলিভিশন জগতে। এর সাথে সাথে বাড়তে থাকে তার ফোলোয়ার। বাংলাদেশ থেকে ভারত পর্যন্ত। এমনকি এই খ্যাতির কারণেই হিরো আলম বাংলাদেশে একবাড় নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন কিন্তু পরাজিত হন। এবার হিরো আলম অন্যান্য ভাইরাল শিল্পী দের নিয়ে তার নিজের বেসুরো গলায় গান রেকর্ড কোরতে শুরু করেন। বাদ যাননি রাণাঘাটের রানু মণ্ডল বা কাচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকর পর্যন্ত। কোন ভাবেই হিরো আলম কে কেঊ থামাতে পারেনি।
কিন্তু এবার বিপর্যয়ের মূখে পড়লেন হিরো আলম। হিরো আলম কিছুদিন আগে একটি রবীন্দ্র সংগীত ও একটি নজরুল গীতি তার নিজের বেসুরো গলায় রেকর্ড করে তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেন আর বিবাদ শুরু হয় সেখান থেকেই। এর পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং তাতে বাঙলা দেশের অন্যান্য বাংলাদেশী ইউটিউবাররাও ।
গত বৃহস্পতি বার হিরো আলম কে বাংলাদেশী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। যদিও হিরো আলম গ্রেফতারীর খবর টি অস্বীকার করে বলেছেন পুলিশ তাকে ডেকে পাঠীয়ে মানসিক নির্যাতন করেছে। হিরো আলম কে সকাল ৬টায় বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রায় তাকে ১০ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় এবং পরে তাকে রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল গীতি দুটি মূছে ফেলতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। হিরো আলম তার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন তার গুণমুগ্ধরা তার গান শূনতে ভালোবাসেন বলেই তিনি গান করেছিলেন, কিন্তু এর পরে বাংলাদেশ পুলিশ অভিযোগ আনেন অন্য একটি গানে হিরো আলম বাঙলাদেশ পুলিসের অনুমতি না নিয়ে বাংলাদেশ পুলিসের পোষাক পরে অভিনয় করেছেন । শেষ পর্যন্ত তাকে এই ধরণের অপরাধ যেন না করেন সেই মূচলেখা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।