সত্যিই আজ তিলোত্তমা বড়ো অসহায়। কিই যে হলো আমাদের কলকাতা তিলোত্তমার, অশান্তির রেশ যেন কাটতেই চাইছে না। উত্তর কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের নারকীয় ভাবে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে গতকাল ছিল রাত দখলের এক ঐতিহাসিক রাত। কলকাতাবাসীদের সাথে সাথে দেশের অন্যান্য রাজ্যে ও বিদেশেও এই রাত দখলের অভিযান হয়েছে। জনগণের নবজাগরণ। যা কলকাতা তথা আমাদের দেশ এই প্রথমবার দেখলো। তবুও অশান্তি কমেনি। ভাঙচুর হয়েছে আর জি কর হাসপাতাল। অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে পুলিশ প্রশাসন। আর তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই আবার ও উঠলো শ্লীলতাহানির অভিযোগ, তাও আবার পুলিশের বিরুদ্ধে।
আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার আইনি ভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। পথ ঘাট থেকে শুরু করে, চাকরি ও সমাজের সর্বত্র তাদের অধিকারের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু গতকাল রাত ৮ টা নাগাদ কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের মহিলা রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন দিয়ে যাবার সময় অসীম ঘোষ নামক জনৈক আর পি এফ আধিকারিক তাদের আটকান এবং শরীরিক নিগ্রহ করেন বলেই অভিযোগ। ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের ভীড় জমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। পৌঁছে গেছিলেন সমাজকর্মী তথা তৃতীয় লিঙ্গ সমাজের মুখ্য প্রবক্তা শ্রীমতী রঞ্জিতা সিনহা, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও লেখিকা বন্যা কর সহ অনেকেই। প্রতিবাদের সাথে তারা দেখা করতে চান রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনের স্টেশন মাস্টার এর সাথে। কিন্তু স্টেশন মাস্টার তাদের সাথে দেখা না করে পিছনের দরজা দিয়ে এড়িয়ে চলে যান বলেই অভিযোগ।
তবে একটা প্রশ্ন ভীষণ ভাবে উঠে এলো, মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণের প্রতিবাদ তৃতীয় লিঙ্গের সমাজ ও করেছে কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের বিপদে তাদের পাশে সাধারণ মানুষ কই??
আপনাদের জন্য রইলো সেই ভাইরাল ভিডিও। তবে দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস খবরের সত্যতা যাচাই করেনি শুধুমাত্র ভাইরাল ফুটেজের ভিত্তিতেই এই ডিজিটাল সংবাদ। তথ্যসূত্র বন্যা করের ফেসবুক প্রোফাইল।