বাংলা বিনোদন জগতে স্টার জলসা প্রথম সারির নক্ষত্র তা নিয়ে বাঙালির কোন দ্বিমত নেই। বিগত দশক ধরে স্টার জলসা একের পর এক মেগা সিরিয়াল দিয়ে বাংলার সিরিয়াল প্রেমি দর্শকদের মন জয় করেছে।
এবার স্টার জলসা তার দর্শকদের জন্য আনছে সম্পূর্ণ অন্য ধারার এক মজার ও হাসির গল্প নিয়ে। কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। আজ কিছুক্ষন আগেই স্টার জলসা তাদের সামাজিক মাধ্যমে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ-এর টিজার প্রকাশ করে। তবে জানিয়ে রাখি এই কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ গল্পটি বিখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক স্বর্গীয় তরুন মজুমদার পরিচালিত, মহুয়া রায় চৌধুরী, অয়ন ব্যানার্জী অভিনীত রোমান্টিক কমেডির “শ্রীমান পৃথ্বীরাজ” থেকেই নেওয়া। আমরা অনেকেই যারা বরেণ্য এই স্বর্গীয় পরিচালকের এই অনবদ্য চলচ্চিত্র টি দেখেছি তারা কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ-এর টিজার দেখলেই বুঝতে পারবো। এই টিজারেও রয়েছে কিশোর শ্রীমান পৃথ্বীরাজের সেই বীরত্বের কান্ডকারখানা যা দেখে কিশোরী কমলা, শ্রীমান পৃথ্বীরাজের প্রেমে পড়ে যাবে।
এই টিজারে দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যখন অগ্নিগর্ভ বাংলা তখন জমিদার রুদ্রপ্রতাপ ব্যাস্ত ইংরেজ তোষামোদে। জমিদার রুদ্রপ্রতাপ ইংরেজ সাহেব কে তার কিশোরী মেয়ের সাথে আলাপ করাতে গিয়ে ভূল ইংরেজি তে বলে – মিট মাই ডটার অরেঞ্জ, থুড়ি, কমলা। তার পরেই বলে বসেন -প্লিজ কাম ম্যাজিস্টর সাহেব, তখনই কমলা তার বাবার ভূল শুধরে দিয়ে শেখায় – বাবা ওটা ম্যাজিস্টর নয়, ম্যাজিস্ট্রেট। অন্যদিকে বৃটিশ বিরোধী দুঁদে উকিল ফনিভূষন , রুদ্রপ্রতাপের এই ইংরেজ তোষামোদ সহ্যকরতে না পেরে তার বন্ধু কে কটাক্ষ করে বলে – রুদ্রপ্রতাপের রায় বাহাদুর হবার লোভ টা দেখেছো? আজ সাহেব ব্যাটা কে দেখিয়ে দেব বিলেতি থিয়েটারের থেকে বাংলার যাত্রাপালা কোন অংশে কম নয়। কথা শুনে ফনিভূষনের বন্ধু উত্তরে বলে – পারতেন, যদি না আপনার ছেলে কেচিয়ে দিত। কথা শেষ হতেই সবান্ধব সেনাবাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে যাত্রামঞ্চেই আর হুঙ্কার দিয়ে বলে – ওরে নরাধম, এই মানিক মুকুজ্জে থাকতে তুই কিনা হবি সম্রাট পৃথ্বীরাজ? দেখাচ্ছি তোকে মজা বলেই কোমোর থেকে বার করে তরবারি। সবান্ধব সেনাবাহিনী ঝাপিয়ে বলে ওঠে জয় সম্রাট পৃথ্বীরাজের জয়। এই কান্ড দেখে, যাত্রায় নিমন্ত্রিত সাহেব রেগে বলে ওঠেন – হোয়াট ননসেন্স? উত্তরে মানিক বলে – এই মাটির বীরপুত্র আমি, পৃথ্বীরাজ চৌহান। ননসেন্স কারে কস, ওরে জাম্বুবান? অপমানিত সাহেব এই শুনে প্রস্থান করেন। এদিকে এই সব দেখে রুদ্রপ্রতাপ বুকে হাত দিয়ে হায় হায় করে বলে ওঠেন আমার রায় বাহাদুর….. রুদ্রপ্রতাপের স্ত্রী রুদ্রপ্রতাপ কে বাতাস করতে করতে বলে একি ছেলে না ডাকাত? কিন্তু কিশোরী কমলা মানিকের এই সাহসিকতার প্রশংসা করে বলল – দেখলে কি সাহস, সাহেবের চোখে চোখ রেখে কেমন পাঠ বললে।
এদিকে ফনিভূষন তৎক্ষনাত মানিকের কান ধরে বলে – এবারে কুলাঙ্গার টাকে মেরে….. তখনই ফনিভুষনের দুই স্ত্রী তাদের আদরের সন্তান কে বাঁচাতে আসরে নামেন আর মানিকের ঠাকুমা ঘোষনা করেন মানিকের বিয়ে দিতে। এরপরেই দেখা যায় দুই বুনোওল আর বাঘা তেতুলের নয়ন মনি দের বিয়ে হচ্ছে।
বাংলা চলচ্চিত্রে গল্পটি এখানেই শেষ হলেও এই ধারাবাহিকে কাহিনি কোন দিকে মোড় নেয় তা জানতে দেখতেই হবে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ যা খুব তাড়াতাড়ি আসছে স্টার জলসা তে। আপাতত আপনাদের জন্য রইলো
কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ -এর টিজার।
স্বদেশী আন্দোলনের সময়ে দস্যিপনা আর ভালোবাসার গল্প নিয়ে আসছে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ শুধুমাত্র স্টার জলসায়।#KomolaOSreemanPrithviraj #StarJalsha #স্টারজলসা pic.twitter.com/pjvLyOV2VF
— Star Jalsha (@StarJalsha_) February 8, 2023