দার্জিলিং হোক বা কলকাতা, মোমো (Momo) সবারই পছন্দের। গরম গরম স্যুপের সঙ্গে সাদা ধবধবে মোমো। ভিতরে চিকেন বা বাঁধাকপির পুর, সঙ্গে শুঁকনো ঝাল-ঝাল টমেটো ও লঙ্কার চাটনি। ভাবলে জিভে জল এলেও, এই মোমো মোটেই শরীরের জন্য ভাল নয়।
স্ট্রীট ফুড মানেই তেল ভাজা। আর তা চপ,শিঙাড়া হোক বা কচুরি, সবেতেই তেল থাকে চুপচুপে। তবে সেদিক থেকে মোমো অনেক বেশি সেফ। তবে এ ধরণা মোটেও ঠিক নয়। তেলে ভাজা এই চপ, শিঙাড়ার থেকেও বেশি ক্ষতিকর মোমো।
মোমোর ‘ডো’ তৈরি হয় ময়দা দিয়ে৷ বাজারচলতি ময়দা ব্লিচ করতে মেশানো হয় বেঞ্জইল পারক্সাইড। এটি আসলে এক প্রকার বিষাক্ত কেমিক্যাল৷ এছাড়াও ময়দার দানা মিহি করতে মেশানো হয় অ্যালোক্সেনের মতো রাসায়নিক৷ যা স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর। অনেক ক্ষেত্রেই মোমোর যে পুর তাতে ব্যবহার করা হয় বাসি সব্জি বা মাংস। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অধিকাংশ চিকেন মোমোর পুরেই পাওয়া যায় ই কোলাই ব্যাকটেরিয়া৷
এছাড়াও মোমোর চাটনিতে লাল রঙ আনার জন্য ব্যবহৃত হয় লাল লঙ্কা গুঁড়ো৷ অধিকাংশ সময়ই ব্যবহার করা হয় খারাপ মানের লঙ্কার গুঁড়ো। এই চাটনিতে আবার যদি স্পাইসের পরিমাণ বেশি হয় তবে হতে পারে পাইলসের মত অসুখের সম্ভবনা। পুসার ইন্সটিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট, কেটারিং অ্যান্ড নিউট্রিশনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে মোমোর মধ্যে থাকে সালমোনল্লা সহ এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া যা থেকে হতে পারে ডায়েরিয়া, টাইফয়েডের মতো নানান রোগ।