যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর পর শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। ইউজিসি-র গাইডলাইন অনুযায়ী এই ধরণের ঘটনায় কী কী করতে হবে, সেই প্রসঙ্গে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিটি। তবে তাতে দমেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করার লক্ষ্যে আন্দোলন চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। তারই মধ্যে বুধবার নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
শান্তি রক্ষার্থে, ফোর্স মোতায়েন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে হঠাৎ বুধবার দুপুরে ভারতীয় সেনার এম্বলেম লাগানো পোশাকে হাজির হন ২৫-৩০ জন। তাঁদের তরফ থেকেই একজন গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে। তাঁরা জানান,বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা জেনে তারা এসেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি রক্ষার্থে যদি তাদের বাহিনী ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তারা পরিষেবা দেবেন। মানবাধিকার রক্ষার কাজ করলেও তাদের এই সংস্থা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে বলেই দাবি করেছিলেন তারা।
তবে সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করতেই থ ওরা। কেউ বলছেন, তারা আন্তর্জাতিক সংগঠন, কখনও বা মানবাধিকার কমিশনের সদস্য, কখনও আবার NGO, এই রকম বিভিন্ন দাবি করতে থাকেন তাঁরা। তাদের কাঁধে WHRPF লেখা ইনসিগনিয়া ব্যবহার করা থাকলেও, তাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা তাদের স্বীকৃতি কারা দিয়েছেন, সেই বিষয়ে কোন স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তারা।প্রসঙ্গত, তাঁরা চম্পাহাটির NGO, তাদের এই সংগঠনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৩ মাসের ট্রেনিংয়ের পর তাদের পুলিশে কাজ দেওয়া হবে, তাই তারা এসেছেন। শেষমেষ ছাত্রছাত্রীরা তাদের ঘিরে ধরলে পালিয়ে যান সবাই।