কলকাতাঃ হাতে গুনে আর মাত্র কটা দিন। পঞ্জিকা মেনে এ বার মা আসবেন ২রা কার্তিক। এদিন ষষ্ঠী। আজ মঙ্গলবার, রাজ্যের পুজোর আমেজ এনে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করলেন এবার রাজ্যের সব দুর্গাপুজো কমিটিকে রাজ্যের তরফে কত টাকা দেওয়া হবে। গত বছর অবধি দুর্গাপুজোর অনুদান ছিল ৬০ হাজার টাকা। এবছর সেটা বাড়িয়ে একলাফেই ৭০ হাজার টাকা করল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণায় জানালেন একই সঙ্গে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিকে সরকারের বিভিন্ন দফতর বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং দেবে। পর্যটন থেকে শিল্প দফতর সরকারি কাজের হোর্ডং দেবে বারোয়ারি পুজোকে। সেই বাবদ টাকাও পাবে পুজো কমিটিগুলি। এবছরের বিসর্জনের সময় ধার্য করা হয়েছে ২৬শে অক্টোবর অবধি। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর হবে পুজোর কার্নিভ্যাল। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রেখে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শারদীয় উৎসব পালন করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য স্কুলের পড়ুয়াদের স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখতে হবে।’’ বিসর্জনের জায়গায় আলো ও ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জরুরি পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা এখন থেকেই করে রাখতে হবে জেলায় জেলায়। পুজোর সময় যেন হেল্পলাইন নম্বরগুলো কার্যকর রাখতে হবে। পুজো কমিটিগুলিতে বার বার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য মাইকে ঘোষণা করতে হবে। জনকল্যাণমূলক হোর্ডিং রাখতে হবে। সরকারের বিভিন্ন দফতর বিজ্ঞাপন হিসাবে হোর্ডিং দিলেও তা কম দামের হবে।
সেই সঙ্গেই এদিনের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন সরকারি উদ্যোগে চালু হল অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বর৷ রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে র্যাগিং সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে৷ এ দিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই হেল্পলাইন নম্বরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যে হেল্পলাইন নম্বর এ দিন চালু করা হয়েছে, সেটি হল ১৮০০ ৩৪৫ ৫৬৭৮৷ পুলিশের কমিশনার বিনিত গোয়েল আরও জানান, অভিযোগকারীর পরিচয়ও গোপন রাখা হবে