শূনতে এক্টূ অবাক মনে হলেও এটাই বাস্তব হতে চলেছে । বর্তমান রাজ্য সরকারের সাথে রাজ্যের রেশন ডিলারস এসোসিয়েশনের সম্পর্ক অম্লমধুর । করোনা কালের আগে থেকেই রেশন ডিলারস এসোসিয়েশন তাদের আগের কমিশনের বকেয়া টাকা নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু করোনা কালের পরেই রাজ্য সরকার , রাজ্য বাসীর সুবিধার্থে ”দুয়ারে রেশন” প্রকল্প চালু করেন ,রেশন ডিলারস এসোসিয়েশনের সাথে কোন রকম আলোচনা না করেই । দুয়ারে রেশন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে মালবাহী গাড়ী ও একজন কর্মচারীর বেতন ভার রাজ্য সরকার কিছু টা বরাদ্দ করতে চাইলেও পরোক্ষ ভাবে যার সম্পূর্ণ দায় গিয়ে পড়তে পারে রেশন ডিলার দের ওপরেই । কারণ আগের বকেয়া টাকাই এখনো পাওনা রয়ে গেছে ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, র্তমানে যেভাবে রেশন ব্যবস্থা চলছে তাতে আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন ডিলাররা। তাই রেশন দোকানগুলিকে বাঁচাতে গেলে এমনটা করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে শুধু মদ বিক্রি নয়, আগামী দিনে রেশন দোকান থেকে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রিরও প্রস্তাব দিয়েছেন ডিলাররা।
২০ সেপ্টেম্বর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রকের প্রধান সচিব সুধাংশু পান্ডেকে। চিঠিটি দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন। তাঁদের দাবি যাতে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করা হয় সেই কারণে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব, কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব, কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও সব রাজ্যের খাদ্য কমিশনার ও খাদ্য সচিবদের।
রেশন ডিলারদের তরফে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশনের অন্যতম কর্তা জয়ন্ত দেবনাথ বলেন, ‘এক একটি রেশন দোকানে দুই থেকে চার জন করে কর্মচারী রয়েছেন। মালিক ও কর্মচারীদের পরিবারে রয়েছেন আরও ৩-৪ জন সদস্য। হিসেব কষে দেখলে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ রেশন দোকানের ওপর নিজের জীবিকা নির্বাহ করে। তাই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির উচিত রেশন দোকানগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা। রেশন দোকানগুলিকে বাঁচিয়ে রেখে যাতে মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে বাঁচিয়ে রাখা যায় সেই জন্যই আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এমন প্রস্তাব দিয়েছি।’ তাঁর আরও যুক্তি, রেশন ডিলারদের প্রস্তাব মানলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পথও মসৃণ হবে।