Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)

জেলখানার ওপর নাম শ্রীঘর। কেন?

Table of Contents

Share Our Blog :

Facebook
WhatsApp

পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে শ্রীঘর শব্দটা বহুল পরিচিত। অমুক নেতা বা বলিউডের তমুক অভিনেতা শ্রীঘরে আছেন এই হেডলাইন প্রায়শই শোনা যায়। জেল কথাটা এখন ব্যবহার হয় কম সবাই শ্রীঘর বলতেই অভ্যস্থ। জেলখানাকে ব্যঙ্গ করেই বলা হয় শ্রীঘর। কিন্তু শ্রীঘর কেন? এর পিছনে রয়েছে এক ইতিহাস।

জেলখানার ওপর নাম শ্রীঘর। কেন?

ষোড়শ শতকের কলকাতা, কলকাতা তখন শহর কলকাতা নয় নেহাতই এক গ্রাম। কলকাতায় তখন নানা ধরণের বড়লোক ব্যবসায়ী বিভিন্ন ব্যবসার সাথে যুক্ত, তাদের সম্পত্তি ও অনেক। সেই সময় শ্রীবাবু নামে এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন কলকাতায়। তার পূর্বপুরুষরা মোঘল রাজাদের সাথে বাণিজ্য করতেন। শ্রীবাবু ও তার পিতা পিতৃব্যর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি পায়, তখন শ্রীবাবু তাদের সাথে ব্যবসা শুরু করেন। অল্প দিনের মধ্যেই ইংরেজদের প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন।

জেলখানার ওপর নাম শ্রীঘর। কেন?

এহেন শ্রীবাবু কলকাতায় একটি প্রাসাদোপম বাড়ি বানান। সেই বাড়ি কলকাতাবাসীর মুখে ‘শ্রীঘর’ নামে প্রচলিত হতে থাকে। একজনের বাড়ি জেলখানার নামান্তর? সেখাই আসল কথা। শ্রীবাবু ইংরেজদের সঙ্গে ব্যবসা করলেও কিছুদিনের মধ্যে ইংরেজদের সাথে তার বিবাদ বাদে। ইংরেজরা বরাবরই কূট প্রকৃতির মানুষ। তারা শ্রীবাবু ষড়যন্ত্র করে জালিয়াতির দায়ে ফাঁসিয়ে দেন। শ্রীবাবুকে তার নিজের বাড়িতেই গৃহবন্দী করে রাখা হয়। কিছুদিন এইভাবে থাকার পর বাড়িতেই মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর সেই বিশাল বাড়ি ইংরেজরা হস্তগত করে নেয়।

জেলখানার ওপর নাম শ্রীঘর। কেন?

তারপর থেকে সেই বাড়িটিকে ইংরেজরা ইংরেজ অপরাধীদের জেলখানা হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন। ইংরেজ অপরাধীদের সেই সময় ভারতীয় অপরাধীদের সমান শাস্তি দেওয়া হত না। এমনকি ভারতীয় বিচারকরা ইংরেজ অপরাধীদের বিচার করতেও পারতেন না। তাই ইংরেজ অপরাধীদের জেলখানায় না রেখে এই বাড়িতে রাখা হত শাস্তির জন্য।

জেলখানার ওপর নাম শ্রীঘর। কেন?

যদিও এ বাড়িতে তারা জেলের মত করে থাকত না। লোকচক্ষুর আড়ালে তাদের সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে এই বাড়িতে রাখা হত। এই বাড়িকে সবার সামনে কারাগার বা জেলখানার মত ব্যবহার করলেও আসলে জেলখানার কিছুই ছিল না সেখানে। তাই শাস্তির নামে একপ্রকার আরামে বসবাসের জীবন পেত ইংরেজরা এই শ্রীঘরে। সেই থেকে শ্রীঘর জেলখানার ব্যঙ্গাত্মক সমার্থক হয়ে দাঁড়ায়। জেলখানাকে ব্যঙ্গ করতে এবং চোখে ধুলো দেওয়া শাস্তি দেখাতে জেলখানাকে শ্রীঘর বলা শুরু হয়।

More Related Articles

মতরঞ্জি
সম্পাদকীয়
সবং-এর উঠোন থেকে ইউরোপের ড্রয়িংরুমে—মাদুর শিল্পের গ্লোবাল যাত্রা শুরু হয়েছে নিঃশব্দ বিপ্লবের মাধ্যমে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর ঘরোয়া উঠোনে গড়ে ওঠা মাদুর শিল্প আজ পৌঁছে গিয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা ও জাপানের বাজারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ, শিল্পীদের উদ্ভাবনীতা ও গৌরীবালা দাস-এর মত শিল্পীদের অবদান মিলিয়ে এই ঐতিহ্য আজ বিশ্বে বাংলার পরিচয়।

Read More »
সম্পাদকীয়
পুরী রথযাত্রা ২০২৫: তিনটি অলৌকিক রহস্য যা আজও অমীমাংসিত

“পুরীর রথযাত্রা ২০২৫ শুধু এক ধর্মীয় উৎসব নয়—তাতে লুকিয়ে আছে এমন তিনটি রহস্য যা যুগের পর যুগ ধরে অব্যাখ্যাত। অসম্পূর্ণ মূর্তি, বাতাস-বিরুদ্ধ পতাকা ও যমশিলা ধাপের অমঙ্গল—এই তিনটি অলৌকিক ঘটনা এখনও বিশ্বাস আর বিজ্ঞানের মাঝে দোল খাচ্ছে।”

Read More »
বিশেষ খবর
ইরান–আমেরিকা উত্তেজনার মাঝেই ‘বাবা ভাঙ্গা’র ভবিষ্যদ্বাণী আবারও চর্চায়

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের আবহে আবারও উঠে এলো বাবা ভাঙ্গার ২০৬৬ সালের ভয়ংকর অস্ত্রের ভবিষ্যদ্বাণী। সত্যিই কি এমন কিছু তৈরি হতে চলেছে যা মানব সভ্যতাকে বিপদের মুখে ফেলবে?

Read More »
naser kanani
আন্তর্জাতিক খবর
ট্রাম্প ঘোষণা দিলেও ইরান স্পষ্ট বলল—‘যুদ্ধবিরতি এখনও হয়নি’!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করলেও ইরান জানাল, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়নি। যদি ইজরায়েল হামলা না করে, ইরানও সংঘাতে যাবে না—এই বার্তা দিল তেহরান।

Read More »
আন্তর্জাতিক খবর
“১২ দিনের যুদ্ধ শেষ”: ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের দাবি, ইসরায়েল ও ইরান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধাপে ধাপে একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে চলেছে। তবে ইরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দেয়নি। কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার পথেই এই শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা।

Read More »
mamata
সংবাদ ও রাজনীতি
“স্কুলের বইয়ের তাকে এবার ‘মমতার কথা’”— সরকার নির্দেশে বাধ্যতামূলক মুখ্যমন্ত্রীর ১৯টি বই।

রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল লাইব্রেরিতে এবার বাধ্যতামূলকভাবে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ১৯টি বই। এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক, যদিও সরকারের দাবি—এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস বাড়াতে সহায়ক হবে।

Read More »
error: Content is protected !!