বরানগর নামক জনপদের উল্লেখ আছে মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে।তাই বয়স মাহাত্ম্যে শহর কলকাতার অগ্রজ বরানগর।এই বরানগর যেমন শ্রীচৈতন্য,রামকৃষ্ণ পরমহংস,স্বামী বিবেকানন্দ,গিরিশচন্দ্র ঘোষ,ভগিনী নিবেদিতা,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পদধূলি ধন্য তেমনি বরানগরের ইতিহাসে মানিক বন্ধোপাধ্যায়,শিশির ভাদুড়ী,সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের নামও সমান ভাবে স্মরণীয়।
এই জনপদের প্রাচীন বনেদি বাড়িগুলি আজও স্থাপত্য শিল্প নিয়ে সুপ্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে।অগ্নি যুগের বিপ্লবীদের স্মৃতি চিহ্ন আজও বরানগরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে।এই হেন বরানগরের ইতিহাসে এই প্রথম হতে চলেছে এক অভিনব ইলিশ উৎসব। চিরকালই বাঙালিদের নানান উৎসবে ইলিশের ম-ম গন্ধে মেতে ওঠার গল্পের শেষ নেই।
যুগে যুগে মাছে-ভাতে বাঙালি জাতি এই রূপালী শস্যের কদর করে এসেছে।বলা যেতে পারে “রজতবর্ণ মনোহরদর্শন মৎস্যকুলরাজ মহান ইলিশ।” তাই এই ইলিশ উৎসবের প্রধান দুই হোতা সঞ্জীব বসাক ও সৌরভ মন্ডলের মূল বক্তব্য “ইলিশ একদেহে এতটা প্রতিভা ধারণ করে, যে শুধু তাকে দিয়েই তৈরি হতে পারে পঞ্চপদি নানান স্বাদযুক্ত বিভিন্ন ভোজন উপযুক্ত পদের সম্ভার।ইলিসের পাতুরি, ইলিশের ডিমের চচ্চড়ি,ইলিশের ভাপা,ইলিশের জাফরানি, মেথি ইলিশ, রশুন নারকেল ইলিশ, ইলিশ হরিয়ালি, ইলিশের শুক্ত, ইলিশের ভুনা খিচুড়ি, ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ পালং, ইলিশ ভর্তা, ইলিশ কোর্মা, ইলিশের টক কি নেই! অর্থাৎ এই ভোজন উৎসবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধুই ইলিশ।”আগামী ১৭ই জুলাই,রবিবার নবোদয় ক্লাব প্রাঙ্গনে,দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকবে রীতিমতো রাজকীয় খাওয়ার আয়োজন! উক্ত দিনে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সমাজের নানান বিশিষ্ট ও কৃতি ব্যক্তিবর্গ।আর এই কদিন বরানগরে ছোট থেকে বড়,উচ্চ বিত্ত থেকে নিম্ন বিত্ত সবার মধ্যেই চলছে ফিস্ ফিস্,ইলিশ আর ইলিশ।