১৯৪৬ এ দেশভাগের পর বহু মানুষের জীবনেও এসেছিল নানান ওঠাপড়া। জন্মভমির মাটি ত্যাগ সে সময় ছিল নাড়ী ছেঁড়ার যন্ত্রণা যা শারীরিক যন্ত্রণার থেকেও মানসিক যন্ত্রণা দেয় অনেক বেশী। এই বিষয়ে বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্র কম হয়নি। বারং বার, বহুবার কবিতা, নাটক ও চলচ্চিত্রে বার বার উঠে এসেছে এই যন্ত্রণার কথা। বাংলার মহীরুহ পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের একাধিক চলচ্চিত্রেও এই যন্ত্রণার কথা উল্লেখিত হয়। আবারও সেই দেশ ভাগের পরে কিভাবে একজন অতি সাধারণ নিম্নবিত্ত ঘরের গৃহবধুর জীবন কিভাবে বদলে যায় সেই নিয়েই ওয়েব সিরিজ ইন্দু বালার ভাতের হোটেল যা এ বছর মার্চ মাসে দেখা যাবে “হইচই” তে।
গতকালই প্রকাশ্যে এল ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের টিজার। দেশভাগের প্রেক্ষাপটে লেখা কল্লোল লাহিড়ীর বিখ্যাত উপন্যাস ইন্দুবালা ভাতের হোটেল কেই সিরিজ হিসাবে আনছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য।
আর ইন্দুবালার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন টলিউডের অন্যতম প্রখ্যাত নায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী। যদিও শুভশ্রী গাঙ্গুলীর ইন্দুবালা রুপে ছবি বহুদিন আগেই নেটনাগরিক দের চমকে দিয়েছিল। প্রস্থেটিক মেকাপের ছোঁয়ায় গ্ল্যামার কুইন হয়েছেন অশতীপর এক বৃদ্ধা। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে না যে মেকাপের আড়ালে লুকিয়ে আছেন বাংলার এই গ্ল্যামার কুইন।
বোঝাই যাচ্ছে, ইন্দুবালা-র চরিত্র শুভশ্রীর কাছে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ যা বাংলার কোন নায়িকা আজ অবধি নিতে পারেননি। কমার্শিয়াল বাংলা চলচ্চিত্র থেকে সেমি-কমার্শিয়ার চলতি বাংলা চলচ্চিত্রে এক চেটিয়া অভিনয় করার প্রতিযোগিতায়, অন্য নায়িকাদের থেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে রইলেন শুভশ্রী।
টিজারে দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধা ইন্দুবালা (শুভশ্রী ) তিনি বলছেন- এটা ইন্দুবালা ভাতের হোটেল, এই চ্যাটচ্যাটে টেবিল আর স্যাতস্যাতে ঘরে লোকেরা ইন্দুবালার হাতের খাবার খেতে আসে, হোটেলে আসে না বাবা। পরের দৃশ্যেই দেখা যায় কিশোরী ইন্দুবালার যৌবনে গৃহবধূ রুপ এবং তার জন্মভূমি ও স্বজন হারানোর ইতিহাস।
আপনাদের জন্য রইলো সেই টিজারের অসম্পাদিত লিঙ্ক।