বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল বিভিন্ন বিষয়ে। শুরু টা হয়েছিল তৃনমূল নেতা তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্রীয় তদন্ত দলের মাধ্যমে গ্রেফতার হবার পর থেকেই। তারপর থেকেই এক এক করে গ্রেফতার হন তৃনমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা সহ কয়েকজন আমলারাও।
রাজ্যের শাষক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ও কেন্দ্রের শাষক দল বিজেপি সাথে দোসর হয়েছে সিপিএম। প্রতিদিনই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিজেপি ও সিপিএমের অভিযোগ উঠে আসছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু হঠাত করেই বগটুই গনহত্যায় অভিযুক্ত লালন শেখ এর সিবিআই এর হেফাজতে আত্মহত্যার ঘটনা অন্য মোড় দেয়। রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি। এই লালন শেখ নিজেই একজন অভিযুক্ত হবার পর তার আত্মহত্যার কারনে সিবিআই আধিকারিক দের নামে অভিযোগ দায়ের করেন লালন শেখের স্ত্রী।
অদ্ভুত ভাবেই সেই এফ আই আর এ এমন কয়েকজন সিবিআই অফিসারের নামে অভিযোগ করা হয়েছে যাদের সাথে এই বগটুই কান্ডের কোন রকম সম্পর্কই নেই। এবং সাথে সাথেই লালন শেখের আত্মহত্যার তদন্ত ভার কাঁধে তুলে নিয়েছে সি আই ডি। এখান থেকেই আবারও বিরোধী দলের নেতারা অভিযোগের প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সাধারণ ঘরের অতি সাধারণ গৃহবধৃ কি ভাবে এই রকম এফ আই আর দায়ের করলেন? তাহলে কি কেউ পিছন থেকে লালন শেখের পরিবার কে পরিচালনা করছেন? লালন শেখের মৃত্যু তে কার লাভ? আদৌ কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল বা সিবিআই কে চাপে ফেলা যাবে?
এই সবকিছু নিয়েই শুরু আমাদের প্রতিবেদন। রাজ্যের বিরোধী ও শাষক দলের নেতাদের বক্তব্য তুলে ধরছে আমাদের প্রতিনিধি। সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন আপনারা।