পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আজ বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (United Nations General Assembly) ২০১৮ সালে ৩রা জুন দিনটিকে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস হিসেবে মর্যাদা দেয় ‘Sustainable Development Goals’ প্রকল্পকে আরও অর্থবহ করে তুলতে। সাইকেল একটি সাধারণ সাশ্রয়ী নির্ভরযোগ্য এবং ইকো ফ্রেন্ডলি পরিবহন মাধ্যম। সাইকেল থেকে কোন রকম দূষণ ছড়ায় না, সাইকেল চালালে তা শরীরের খুব উপকারী। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই বাইসাইকেল দিবসের পরিকল্পনা এবং সম্পাদন।
আজকে বিদেশে এই দিন পালিত হবে, কত কত মানুষ সাইকেল চালাবে, র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। শুধু বিদেশে কেন ভারতেও অনেক রকম অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু একদিন সাইকেল চালিয়ে পরিবেশ বাঁচানো যাবে কি? যদিও একদিন যদি সকলে গাড়ি না চালিয়ে সাইকেল চালান তাহলে একদিনে কিছুটা দূষণ কম হবে।
সাইকেল তো বাঙালি কিশোর কিশোরীর আবেগ। স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা সাইকেলই তো তাদের বাহন। সাইকেল নিয়েই তো জীবনের সবথেকে রঙিন দিনগুলি অতিবাহিত করে কিশোর সমাজ। স্কুল বা কোচিং ক্লাস বাঙ্ক করে একটু ঘুরে আসা তখন তো সব বন্ধুদের সাথে সাইকেল আর এক সঙ্গী। বা ধর কোচিং এ যে মেয়েটাকে ভালো লাগে সাইকেল নিয়ে তার পিছন পিছন তার বাড়ি পর্যন্ত যাওয়া। উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে একদল দামাল ছেলেকে কিন্তু আজও দেখা যায়। সাইকেল ছাড়া স্কুল জীবন টা কিন্তু আজও ভাবতে পারে না বেশিরভাগ বাঙালি।
না সেই সাইকেল চালানোয় পরিবেশ বাঁচানোর চিন্তা নেই সেই সাইকেলটা বন্ধু। আজ যারা বড় হয়ে গেছ। অফিস আর বসের ঝাড় নিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছ, দেখবে অনেকেরই ঘরের কোণায় ধুলো মেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই বন্ধুটা। যাকে ছাড়া একসময় থাকতে পারতে না আজ তার দিকে দেখারও সময় না।
কোন পরিবেশের জন্য না সাইকেল দিবস পালনের জন্য না একদিন হঠাৎ করে নিজের জন্যই সেই বন্ধুটার কাছে গিয়ে দেখ না। সাইকেল টা নিয়ে একটু বাইরে বের হও, স্কুল লাইফ বা সেই দামাল জীবনটার কথা মনে পড়বেই। সেইসব বন্ধুদের বেশিরভাগের সাথেই হয়তো যোগাযোগ নেই, কিন্তু তবুও তাদের কথাও মনে পড়বে। তাই আজ শুধু সাইকেল দিবস না, আজ বন্ধুত্ব দিবসও তৈরি হয়ে যাবে নিজের মনে মনে।