অবশেষে আমদের সকলের প্রাথনা কে হারিয়ে ঈশ্বর বাংলার সকলের প্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা কে নিজের কাছে ডেকেই নিলেন। ঐন্দ্রিলা মাত্র ২৪ বছরেই সকলের কাছে ভীষন আদরের হয়ে উঠেছিলেন তার নম্র ও সদাহাস্যোজ্জ্বল স্বভাবে। বিনোদন জগতে তার ভূমিকা বিশেষ না হলেও তিনি সকলের কাছেই হয়ে উঠেছিলেন ভীষন কাছের, ভীষন প্রিয়।
সব্যসাচি, যিনি সবসময় ঐন্দ্রিলার প্রতিটি যুদ্ধে পাশে থেকেছেন। কখনো চোখের আড়াল হতে দেননি। দুদুবার শুধু ভালোবাসা দিয়ে যুদ্ধ করে কর্কট ব্যাধিকে হারিয়ে ঐন্দ্রিলা কে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ঐন্দ্রিলা আর সব্যসাচির প্রেম এখান থেকেই বিখ্যাত হয়। সামাজিক মাধ্যম থেকে খবরের দুনিয়ার। প্রতিটি মঞ্চেই ঐন্দ্রিলা, সব্যসাচির এই ভূমিকা উল্লেখ করেছিল। সব্যসাচি ঐন্দ্রিলা কে দুচোখে আগলে রেখে ছিল।
কিন্তু ওদের এই প্রেম যে কখন সামাজিক ভাবে পন্য হয়েগেল তা বুঝতে পারেননি। তৃতীয়বার অর্থাৎ ১লা নভেম্বরে যখন ঐন্দ্রিলা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন হঠাৎই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় অতিরঞ্জিত ভাবে লোকদেখানো পোষ্ট। এমনকি ঐন্দ্রিলার চলে যাবার আগেই শুরু হয়েছিল তার প্রতি শোকবার্তা। অবাক করা বিষয় হল সেই শোকবার্তায় সামিল ছিল প্রথম সারির একটা সংবাদ সংস্থাও। সকলকেই সব্যসাচি এই ভূলটি শুধরে নিয়ে ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেন। সবাই নিজেদের ভুল সংশোধন করেন।
তবে গতকাল সবচেয়ে বেশী খারাপ খবর টি সামাজিক মাধ্যমে আসার পর আজ সকাল অবধি যা চলছে তা বোধহয় শুধুমাত্র অমানবিকতাই নয় দায়িত্বজ্ঞানহীন অমানবিকতা। না জেনেশুনেই অন্য একটি যুগলের শোকার্ত মুহুর্তের ভিডিও তে ঐন্দ্রিলা সব্যসাচির ছবি জুড়ে ভাইরাল করা, এমনকি কিছু পরে শশ্মানে সব্যসাচির ঐন্দ্রিলার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের মুহুর্ত ভাইরাল হল। টেলিভিশন চ্যানেল গুলিও সেই মুহুর্ত গুলি বার বার দেখিয়ে কিছু বিজ্ঞাপনী ব্যাবসা করে নিলেন। যারা আদৌ ঐন্দ্রিলা সব্যসাচির পরিচিত নন তারাও নিজেরের সোস্যাল মিডিয়াতে ওদের নিয়ে শোকবার্তা পোষ্ট করে প্রোফাইলের রিচ বাড়ালেন।
এবার একটু ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচির জায়গায় নিজেকে রেখে ভাবুন তো, সত্যিই কি এগুলো ঠিক হলো? ওদের ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে আমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাবহার করে যে “সুবিধা” টা নিলাম সেটাকি ঠিক ?
আমাদের সকলের দায়বদ্ধতা কি এতটাই ঠুনকো? যদি সত্যিই এতটাই সহানুভূতিশীল হন তাহলে তো আমাদের চারপাশে থাকা হত দরিদ্র পরিবার বা মানুষের জন্যও বা অর্থের অভাবে পড়তে না পারা ছাত্রছাত্রীদের পাশেও আপনারা এই একই সহানুভূতি নিয়ে পাশে দাড়াবেন। কি দাড়াবেন তো?