বামপন্থী যুগের শেষ দিকের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গুলির মধ‍্য সব থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল সিঙ্গুর – নন্দীগ্রাম আন্দোলন। যা হয়েছিল ত‍ৎকালীন রাজ‍্য সরকারের জোর করে জমি অধিগ্রহণ কে কেন্দ্র করে। অভিযোগ উঠেছিল সেই সময় টাটা কে ন‍্যানো গাড়ির ফ‍্যাক্টরি করতে দেবার জন‍্যই ত‍ৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য তার পুলিশ ও হার্মাদ বাহিনী দিয়ে গ্রামবাসীদের ওপর নৃশংস অত‍্যাচার করেছিলেন। সেই সময় এই নৃশংস অত‍্যাচারের বিরোধীতা করেছিলেন ত‍ৎকালীন রাজ‍্যের বিরোধী দল তৃনমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দোপাধ‍্যায়ের নেতৃত্বে। বামফ্রন্ট বা সিপিএমের সেই নৃশংস অত‍্যাচারের বিরুদ্ধে কলকাতার রাজপথে নেমে ছিল “বুদ্ধিজীবী” দের প্রতিবাদ মিছিল। ঠিক তখন থেকেই রাজ‍্যবাসির কাছে উঠে আসে এই নতুন শব্দটি – বুদ্ধিজীবী।

রাজ‍্যথেকে বামপন্থী দের সাম্রাজ্যকে হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মসনদে এলেন মমতা বন্দোপাধ‍্যায় ও তৃনমূল সরকার। দেখতে দেখতে পার হয়েগেল ১১টা বছর। ত‍ৎকালীন বামপন্থী দলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ হাইকোর্ট তদন্তের ফলাফল দেখে বেকসুর ঘোষনা করেন। কিন্তু এবার বর্তমান রাজ‍্য সরকারের বিরুদ্ধে, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টির একের পর এক অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল একের পর এক রাজ‍্য সরকারের নেতা ও আমলাদের গ্রেফতার করছেন প্রমান সহ। বার বার প্রমান হচ্ছে রাজ‍্যের সাধারণ মানুষ কিভাবে প্রতারিত হচ্ছেন চাকরি থেকে শিক্ষা সহ প্রায় প্রতিটি বিষয়ে। এখন কেন চুপ সেই বুদ্ধিজীবীরা। কোথায় তারা? কারাই বা এই বুদ্ধিজীবী? দেখুন জনগন কি বলছেন।