Home » “মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ের” সিনেমার আসল কেসের যিনি প্রধান কাণ্ডারী, সে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্যে আবেদনকারী৷

“মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ের” সিনেমার আসল কেসের যিনি প্রধান কাণ্ডারী, সে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্যে আবেদনকারী৷

Mrs CHATTERJEE VS NORWAY -র  টিজার রিলিজ হয় । দুটি শিশু সন্তানের জন‍্য একটি অন‍্য দেশের সাথে, দুটি শিশু সন্তান কে ফিরে পাওয়ার এক কঠিন লড়াইয়ের গল্প। মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঙালি তথা বলিউড নায়িকা রানি মুখার্জী ও শিশু দুটির বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলার এই মুহুর্তের জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বান ভট্টাচার্য্য। সত‍্য ঘটনা অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি আপামোর দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীকে রুপলি পর্দায় দেখাতে গিয়ে প্রযোজক সংস্থা EMMAY Entertainment  বেমালুম চেপে গেলেন এই ঘটনার আসল চরিত্র কেই। যার জন‍্যই আসলে শিশু সন্তান দুটিকে তাদের মা ফেরত পেয়েছিলেন।

           

নরওয়ে তে, সঠিক লালন পালন না করার অভিযোগে, প্রবাসী বাঙালি দম্পতি অনুরুপ ভট্টাচার্য্য ও তার স্ত্রী সাগরিকা ভট্টাচার্য্য (চক্রবর্তী) -র থেকে নরওয়ের শিশু সুরক্ষা দফতর, নরওয়ে আইনানুযায়ী তাদের দুই শিশু অভিজ্ঞ‍্যান ও ঐশ্বর্য কে নিজেদের হেফাজতে নেন এবং অনুরুপ ভট্টাচার্য্য ও সাগরিকা ভট্টাচার্য্য (চক্রবর্তী) কে জানিয়ে দেন ঐ দুই শিশু যতদিন না সাবালক হচ্ছে ততদিন তারা নরওয়ের শিশু সুরক্ষা দফতরের অধীনে প্রতিপালিত হবে। নরওয়ের এই আইন ভারতীয় সংস্কৃতিতে বেশ অমানবিক যা মেনে নিতে পারেননি ভট্টাচার্য্য দম্পতি। নরওয়ে সরকারের কাছে বহু আকুতি অনুরোধ করেও কোন লাভ হয়নি ভট্টাচার্য্য দম্পতির।

নরওয়ের প্রবাসী বাঙালি, অনুরুপ ভট্টাচার্য্য জানতে পারেন এই বিষয়ে কোলকাতা থেকে “একজনই” তাকে সাহায্য করতে পারবেন। তিনি বিশিষ্ট সমাজসেবি রাজীব সরকার। রাজীব সরকার তখন কোলকাতায় তার NGO নিয়ে নানান সামাজিক কাজ নিয়ে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। তার করা কাজের তালিকা দেখলে সত‍্যি অবাক হতে হয়। সেই সব কাজের মধ‍্যে নরওয়ে তে আটকে পড়া এই বাঙালি শিশুদের উদ্ধার করার কাজটি অন‍্যতম। বাকি কাজের কথা গুলিও আমরা নিশ্চয়ই আপনাদের সামনে রাখবো, তবে অন‍্যদিন।

নরওয়ে থেকে অনুরুপ ভট্টাচার্যের ইমেলে, রাজীব সরকার কে Authorization

অনুরূপ বাবু নরওয়ে থেকে এই রাজীব সরকারের সাথে যোগাযোগ করেন। রাজীব সরকার, ভট্টাচার্য্য পরিবার কে সাহায্য করার আশ্বাস দেন। ফোনে কথা বলার পর সমস্ত তথ‍্য ও প্রমান নিয়ে, ১৯শে ডিসেম্বর ২০১১ তে রাজীব সরকার ও তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাল বিলম্ব না করে ই-মেল ও লিখিত চিঠি  মারফত, একসাথে ভারতের ত‍ৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী , নরওয়ে তে থাকা ভারতীয় দুতাবাস ও ত‍ৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল, বিদেশ মন্ত্রী কে এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ নজর দিয়ে দ্রুত সমাধানের ব‍্যাবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশ দেন।

 

 

 

কিন্তু তার আগেই ৯ই জানুয়ারি ২০১২ তারিখে কলকাতা প্রেস ক্লাবে রাজীব সরকার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন যার নাম ছিল Free Our Kids. এখান থেকেই ভারতের সমগ্র সংবাদ সংস্থা এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। প্রেস ক্লাবে রাজীব সরকার সাংবাদিক সম্মেলন করার পর, তৎকালীন চ‍্যানেল টেন-এর যিনি সর্বোচ্চ ছিলেন, কুনাল ঘোষ এবং পুরো চ‍্যানেল টেন টিম তারা এই প্রশাসনিক জট খুলতে ময়দানে নামেন।

এবং কুনাল ঘোষের জন‍্যই, মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যায় প্রষাসন কে নির্দেশ দেন, যে কোন মূল‍্যে শিশু দুটিকে ভারত বর্ষে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসন কাজ শুরু করে। এই বিষয়ে রাজীব সরকার বলেন, চ‍্যানেল টেন সংবাদ সংস্থা, কুনাল দা এবং পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন আমার পাশে না থাকলে এই এত বড় লড়াই, আমার একার পক্ষে লড়াই করা সম্ভব ছিল না।

এর পরেই রাজীব সরকারের আহ্বানে ও কলকাতা পুলিশের অনুমতিক্রমে কোলকাতার রাজপথে বহু মানুষের মিছিলে শুরু হয় আন্দোলন এবং কলকাতার নরওয়ে কনসুলেট ঘেরাও করা হয়। ফলে কলকাতার কনসুলেট জেনারেল রাজীব সরকার এবং শিশুদুটির মায়ের ( সাগরিকা ভট্টাচার্য )  বাবা মনোতোষ চক্রবর্তী ও কয়েকজনের সাথে আলোচনায় বসেন। এবং কনসুলেট জেনারেল, রাজীব সরকার সহ আলোচনায় উপস্থিত সকলকে প্রতিশ্রুতি দেন এ বিষয়ে ওনারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

 

দ‍্যা হিন্দু পত্রিকার, প‍্যারিসের বরিষ্ঠ মহিলা সাংবাদিক ভাইজু নারাভানে।

এরপরেও রাজীব সরকার, নিয়মিত ভারত সরকার ও নরওয়ে সরকারের সাথে একযোগে আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকেন এবং সেই মুহূর্তেই রাজীব সরকার কে সাহায‍্য করতে এগিয়ে আসেন  দ‍্যা হিন্দু পত্রিকার, প‍্যারিসের বরিষ্ঠ মহিলা সাংবাদিক ভাইজু নারাভানে। ভাইজু নারাভানে, এই বিষয়ে একাধিক বার নরওয়ে গিয়েছিলেন, নরওয়ের সরকারের সাথে আলোচনা করার জন‍্য।

এই ভাইজু নারাভানে, সুদুর প‍্যারিস থেকে ফোনের মাধ‍্যমে কলকাতার  রাজীব সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে ভারত সরকারের মাধ‍্যমে, নরওয়ে সরকারের ওপর মারাত্মক কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়। এর ফল স্বরুপ, নরওয়ে সরকার, শিশু দুটিকে মুক্তি দেবার আর্জি শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর করেন। শর্তছিল যে ভারতে শিশুদুটি ফিরে যাবার পর, শিশুদুটি এই তার বাবার কাস্টডি বা অধিনে থাকতে হবে। কোন ভাবেই শিশু দুটি কে তার মায়ের কাছে রাখা যাবেনা। শিশু দুটির বাবা মা ও কাকা অরুনাভাষ ভট্টাচার্য্য কলকাতায় রাজীব সরকারের সাথে ফোনে আলোচনা করে সেই প্রস্তাব মেনেনেন। এবং তারপরেই সকলে নরওয়ে আদালতে লিখিত মুচলেকা দেন এবং একই সাথে কলকাতা থেকে রাজীব সরকার লিখিত মুচলেখা দেন। বিদেশ মন্ত্রক সেই সময়  নরওয়েতে আটকে পড়া শিশু দুটির মুক্তির বিষয়ে দেশে ফেরানোর জন্যে  রাজীব সরকারের থেকে এবং  শিশু দুটির বাবা ও মায়ের লিখিত অনুমোদন পত্র চান। শিশুদুটিকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্যে ২৯ শে মে ২০১২ তারিখে লিখিতভাবে রাজীব সরকারকে মনোনীত করে “অথোরাইজেশন লেটার” দেন।

এরপরে নরওয়ে আদালতের ছাড়পত্র মেলার পরে শিশুদুটি কাকা ও মায়ের সাথে কলকাতায় ফিরে আসে এবং বাবা অনুরুপ ভট্টাচার্য্য নরওয়েতেই থেকে যান।

প‍্যারিসের দ‍্যা হিন্দু ও অনান‍্য ভারতীয় মিডিয়া কি বলেছিল তখন? ছবি ও লিঙ্ক সহ দেখে নেওয়া যাক 

March 29, 2012 01:40 am | Updated December 04, 2021 11:42 pm IST – PARIS

https://www.thehindu.com/news/national/cws-wont-be-swayed-by-diplomatic-pressure/article3255432.ece

ZEE NEWS

https://zeenews.india.com/news/nation/kids-custody-row-a-closed-chapter-norway_778291.html

INDIA TODAY , Kolkata,UPDATED: Mar 25, 2012 14:09 IST

https://www.indiatoday.in/india/north/story/norway-custody-row-ngo-seeks-permission-nri-kids-96997-2012-03-24?utm_source=washare&utm_medium=socialicons&utm_campaign=shareurltracking

 

কলকাতায় ফেরার পরেই, শিশুদুটির মা শিশুদুটির কাস্টডি দাবী করেন। কিন্তু নরওয়ে আদালতে দেওয়া লিখিত মুচলেখা অনুযায়ী, শিশুদুটির কাকা অরুনাভাষ ভট্টাচার্য্য ( নরওয়ে থেকে লিখিত ভাবে দায়িত্বাধীন ) শিশু দুটিকে তার মাকে দিতে অস্বীকার করেন। ফলে এই বিষয়ে দুটি পরিবারের মধ‍্যে প্রকট দ্বন্দ তৈরী হয়। ফলে ২৪শে মে ২০১২ তারিখে ই-মেলের মাধ‍্যমে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের একটি থানায় কাকা অরুনাভাষ ভট্টাচার্য্য অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার পরেই আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের পক্ষথেকে শ্রী সঞ্জীব কুমার দাস, রাজীব সরকার কে ফোন করে ডেকে পাঠান।

উক্ত বিষয়ে দ‍্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলসের পক্ষে আমরা রাজীব সরকার কে প্রশ্ন করলে উনি আমাদের জানান – ”ত‍ৎকালীন পুলিশ আধিকারিক সঞ্জীব কুমার দাস, যিনি পরবর্তী ২০১৭ সালে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি/ডিডি পদে উর্তীর্ন হয়েছিলেন। সেই পুলিশ আধিকারিক এর আদেশ মতো আসানসোল পুলিশের অধীনস্ত এলাকায় নরওয়েতে আটকে থাকা শিশুদুটির বাবার বাড়িতে শিশুদুটির সাথে দেখা করতে যাই।

একই সাথে সেই দিনে উক্ত বাড়িতে তৎকালীন পুলিশ অফিসার সঞ্জীব কুমার দাসের সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয় ।

তৎকালীন পুলিশ অফিসার সঞ্জীব কুমার দাস, ব‍্যাক্তিগত ভাবে , শিশুদুটি কে তাদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেবার জন‍্য আমার কাছে লিখিত মুচলেকা চান। আমি তিব্র ভাবে সেই মুচলেকা দিতে অস্বীকার করি কারন ব‍্যাক্তিগত ভাবে নরওয়ে তে থাকাকালীন বেশ কিছু ঘটনা আমি জানি যা কখনই কোনদিন প্রকাশ‍্যে আনা সম্ভব নয়। ফলত পুলিশ আধিকারিক সঞ্জীব কুমার দাস আমার ওপর প্রচন্ড ক্ষুন্ন হন। এবং এরপরেই পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা দফতর সহ বেশ কিছু অতিক্ষমতাবান এবং রাজনৈতিক মহিলা বাহুবলীর আবির্ভাব ঘটে”। 

এই সব ঘটনার পর ও সম্ভবত অদৃশ্য কোন ব‍্যাক্তির চাপে এই ঘটনা থেকে রাজীব সরকার সম্পুর্ন ভাবে সরে দাঁড়ান। পরবর্তী পর্যায় এই ঘটনাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে মহামান‍্য কলকাতা হাইকোর্টে সমাধানের জন‍্য যায়। কলকাতা হাইকোর্ট ভারতীয় আইন অনুযায়ী এবং শিশু সুরক্ষা কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে শিশুদুটি কে তাদের মায়ের হাতে তুলে দেন।

নরওয়ে তে আটকে পড়া দুই শিশুর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত রাজীব সরকারের সাথে, তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠি পত্রের নথি দেখা যাক এক ঝলকে :

এই বিষয়ে রাজীব সরকার কে প্রশ্ন করলে তিনি আমাদের জানান ”সাগরিকা অত্যন্ত মিষ্টি একটি মেয়ে, তার জীবনের যে যন্ত্রণা, কষ্ট তা আমি নিজে চোখে দেখেছি। বহুবার ফোনে ও Skype ভিডিও কলে  তার সাথে, অনুরুপের সাথে ও দুটি পরিবারের সকলের সাথে আমার নিয়মিত কথা হত। আমি কখনই সাগরিকার বিরুদ্ধে ছিলাম না। আমি চেয়েছিলাম দুটি পরিবার মিলে মিশে শিশুদুটির লালন পালন করুক। কিন্তু আমার ব‍্যাক্তিগত ভাবে খুব কষ্ট ও যন্ত্রণা হয়েছে এটা দেখে যে ভারতবর্ষের এবং কলকাতার কিছু ক্ষমতার ধারক ও বাহকরা মিলে পরিবার দুটিকে আলাদা না করে যদি এক করার ব‍্যাবস্থা করতেন তাহলে আমার মনে হয়না, নারীবাদ ও নারীশক্তির কোনও সামান‍্যতম ক্ষতি হত। আজ আমি এই সিনেমাটিকে সামনে রেখে নিজেকে মহান করছি, কেউ শিশুদুটিকে সামনে রেখে বড় পরিচালক হচ্ছেন, কেউ শিশুদুটির কথা সামনে এনে যে যার মত ক্রীম খাবেন এবং ক্রীম খাবার ইঁদুর দৌড়ে নামবেন। কিন্তু কেউ কি একবারও ভেবে দেখেছেন, সেই শিশুদুটি তাদের শিশুবস্থায় বা বাল‍্যজীবনে তারা বাবা কাকা এবং দাদু দিদার সাহচর্য ভালোবাসা স্নেহ মায়া মমতা থেকে বঞ্চিত হল। আমরা কি সকলে মিলে একটি পরিবারকে ভেঙে দুটুকরো করে নিজেদের মহান করে তুলছি না? কেউ যদি বলেন আমি এই লড়াইয়ে যুক্ত ছিলামনা তাহলে হয়তো তাই কিন্তু আমার কাছে এমন কিছু আইনত কাগজপত্র, ভিডিও আছে যা সামনে আনলে হয়তো সিনেমার বিষয় বস্তুটাই আমুল পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। আমি তা চাইনা”।

RAJEEV SARKAR

তিনি আরো জানান ”আমার জীবনের যন্ত্রণা দায়ক বিষয়, ২০১৭ সালে, এই পুলিশ আধিকারিকই ব‍্যাক্তিগত রাগ, ঘৃনা ও ক্ষোভের কারনে আমাকে গভীর ষড়যন্ত্র করে মিথ‍্যা কেস দিয়ে প্রায় ১৬ মাস জেলবন্দি করলেন এবং আরো ১৭মাস, নিঃসঙ্গ, একাকী ও বিনাচিকিৎসায় এবং নিদারুণ আর্থিক দূরাবস্থায় প্রায় গৃহবন্দী করে রেখেছিলেন। যদিও আমার এই গ্রেফতারি ও গৃহবন্দী বিষয়ে ডিসেম্বর ২০২২ এ আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যায়ের কাছে সব বিস্তারে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ইতিমধ্যেই আমি আমার স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করেছি। কলকাতার এই দুটি শিশুর মুক্তি সহ অনান‍্য বহু শিশু ও মানুষ কে বিদেশের জেল থেকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। এটাই আমার জীবনের বড় অপরাধ। আমার দীর্ঘ জেল ও গৃহবন্দী জীবন এবং আমার বাবা মার মৃত্যু নরওয়ের এই দুটি শিশুর মুক্তি ঘটনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে তা জীবনেও ভাবিনি। সাগরিকাকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। ওর জীবনে সব জায়গায় জয়ী হোক সেটাই কামনা করবো। অনুরুপদা এবং অরুনাভাষদের আজকের দিনে কোথাও কোন অস্তিত্ব নেই সেটাই আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। তাই Mrs CHATTERJEE VS NORWAY সিনেমায় আমার বিষয়ে কোন কিছু দেখানো হয়েছে কিনা বা আমার সম্পর্কে কোন কিছু তুলে ধরা হয়েছে কিনা অথবা কোন পুরস্কার বা সান্ত্বনা বা কোন কিছুরই প্রত‍্যাশা করিনা।  শুধু আমার চাওয়া বলতে, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যয়ের কাছে আমার একটাই আবেদন নিদারুণ অর্থকষ্টে প্রতিদিনের তিল তিল করে মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার জন‍্য আমার স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদনটি গ্রহন করুন। এছাড়া আমার জীবনে আর কিছু চাইবার নেই”। 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!