Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)

সালমান খানের পরেই টার্গেট করা ছিল করন জোহর কে । EXCLUSIVE REPORT

Table of Contents

Share Our Blog :

Facebook
WhatsApp

বলজীত পারমার , বরিষ্ট সাংবাদিক, অপরাধ জগত ঃ  পাঞ্জাবী গায়ক সীধু মূশেওয়ালা কে হত্যা করার পর মূল স্বড়যন্ত্রী, তীহাড় জেলে সাজা প্রাপ্ত লরেন্স বিষনোই কে পাঞ্জাব পুলিশ রিমান্ডে নেয়। কোর্ট রিমান্ডের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পরে পাঞ্জাব পুলিশ লরেন্স বিষনোই কে রিমান্ডে নেয় অন্যদিকে দিল্লী পুলিশ লরেন্স বিষনোই – এর অন্যতম পার্টনার কানাডায় অবস্থিত গোল্ডী ব্রার কে গ্রেফতার করার জন্য ইন্টারপোলের সাহায্য চায়। ইন্টারপোল কানাডা তে গোল্ডী ব্রার কে খুঁজে বার করার জন্য তদন্ত শুরু করে । এর পরেই লরেন্স বিষনোই ঘাবড়ে যায়। তার মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় যে পুলিশ রিমান্ডেই তাকে হয়তো এণকাঊণ্টার করে হত্যা করা হতে পারে। সেই আতঙ্কে সে পাঞ্জাব পুলিশের স্পেশাল সেল কে তার ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে।

লরেন্স বিষনোই

লরেন্স জানায় যে সে জেল থেকেই ফোনের মাধ্যমে গোল্ডী ব্রার আর তার অন্যান্য শাগরেদ দের সাথে যোগাযোগ করতো। ফলত পাঞ্জাব পুলিশ কোর্টে লিখিত রিপোর্টে জানায় দিল্লির তিহার জেলে যেখানে চরমতম নিরাপত্তার বেষ্টনী থাকে সেই জেল থেকেই ফোন ব্যাবহার করা হয়েছে অর্থাৎ  এর ফলে দিল্লি পুলিশে ও তিহার জেলের একাংশের জড়িত থাকার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। লরেন্স জানায় সিধু মুসেওয়ালা কে মারার কারন ছিল মোটা অঙ্কের তোলা আদায় করা, বার বার মুসেওয়লা কে বলা সত্ত্বেও যা মুসেওয়ালা দিতে রাজী হননি তাই মুসেওয়ালা কে হত্যা করে অনান্য বিত্তশালী মানুষ দের কে ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা তোলা আদায় করা ।

সালমান খান

অন্যদিকে সালমান খান কে হত্যা করার হুমকি দিতে তদন্তে নামে মুম্বাই পুলিশ। সেখানেও হুমকি চিঠি তে লরেন্স বিষনোই আর গোল্ডই ব্রার এর নামের সুত্র ছিল । সালমান খান কে হত্যা করার হুমকি অনেক আগে থেকেই  দিয়েছিল লরেন্স কিন্ত এবার জানা গেল লরেন্সের একজন শার্প শুটার সালমান খানের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল হকি স্টিকে পিস্তল লুকিয়ে  কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশ চলে আসায় সেদিন খুনের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এর পরেও লরেন্স সালমান খান কে হত্যা করার জন্য একটি স্নাইপার রাইফেল জোগাড় করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পরবর্তী কালে স্নাইপার সরবরাহ করার দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তি অন্য একটি অপরাধের কেস এ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। সালমান খান ও তাঁর পিতা সেলিম খান কে হত্যা করার হুমকি দেবার মূল কারন ছিল কোটি কোটি টাকা তোলা আদায় করা । পাঞ্জাব পুলিশের স্পেশাল সেলের কাছে লরেন্স এত টাই এবার ভেঙ্গে পরেছে যে সে এবার এটাও স্বীকার করে যে সালমান খানের পর নিশানা ছিল মুম্বাইয়ের বিখ্যাত প্রযোজক ও পরিচালক করন জোহর । এছারাও তাদের টার্গেট ছিল মুম্বাইয়ের বহু শিল্পি ও প্লেব্যাক সিঙ্গার।

করণ জোহার

অন্যদিকে পাঞ্জাব পুলিশ মহাকাল নামে এক অপরাধী কে গ্রেফতারর করে যে মুসেওয়ালা হত্যা কাণ্ডে গুলি চালিয়েছিল। সে পাঞ্জাব পুলিশ কে জানিয়েছে – যে লরেন্স বিষনোই ও গোল্ডই ব্রার ফেসবুকে অন্তত পক্ষে ২০০ টি প্রাইভেট কমিউনিটি চালায় যেখানে উঠতি ছেলে দের কে তাদের দলে ভতি করা হয়। তাদের কে অপরাধীদের রঙ্গিন লাইফস্টাইলের ভিডিও দেখানো হয় এবং উৎসাহ দেওয়া হয় তোমারাও এরকম অপরাধিক কাজ করলে তোমারাও দেশে বিদেশে প্রচুর টাকা উড়িয়ে জীবন যাপন করতে পারবে। এমন কি প্রথম দিকে কোন কারন ছারাই এক এক জন নতুন যুবক কে ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা হাত খরচা দেওয়াও হয়ে থাকে এবং পরবর্তী কালে তাদের কে দিয়ে নানান অপরাধিক কাজ কর্ম করান যায়।

এই মুহূর্তে লরেন্সের গ্যাং এ গোটা ভারতে ২০০০০ এর বেশী শাগরেদ আছে এবং লরেন্সের এসব করার মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সব থেকে বড় ডন দাঊদের জায়গা দখল করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More Related Articles

error: Content is protected !!