পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আগামিকাল রাত পোহালেই জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণ এবং মহামায়ার জন্মতিথি। শ্রীকৃষ্ণকে এই দিন সকলে মনে করলেও মহামায়া পিছনের সারিতেই থেকে এসেছে আজন্মকাল। অনেক বাড়িতেই জন্মাষ্টমী ধূমধাম করে পালিত হয়, শ্রীকৃষ্ণ বা গোপাল পূজার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এই বছর জন্মাষ্টমীতে খুব শুভ এক যোগ রয়েছে। নিয়ম মেনে পূজা করলে কৃষ্ণ লাভের আশা থেকেই যাচ্ছে। শুধু কৃষ্ণ লাভ নয়, বলা হয় এমন যোগে ব্রত পালন করলে সমস্ত রকম পাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বুধবার অষ্টমী তিথি শুরু হবে সন্ধ্যা ৮ টা বেজে ১২ মিনিট গতে, এবং তিথি থাকবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮ টা ৫ মিনিট পর্যন্ত। এদিন কৃত্তিকা নক্ষত্র বিরাজ করবে দুপুর ২টো পর্যন্ত এবং তারপর থেকে সারারাত রোহিণী রোহিণী নক্ষত্র বিরাজ করবে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টে বেজে ১০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে হর্ষণ যোগ এবং তারপর শুরু হবে সিদ্ধি উদয়িক যোগ। পুরাণমতে ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথির মাঝরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এই বছর বুধবার মধ্যরাতে অষ্টমী এবং রোহিণী নক্ষত্র এক যোগে মিলিত হয়েছে। এই মিলনের ফলেই জয়ন্তী নামক এক অত্যন্ত শুভ যোগ তৈরি হয়েছে। এই যোগ অতীব মঙ্গলময় একটি যোগ।
এদিন জয়ন্তী যোগে সমস্ত নিয়ম মেনে জন্মাষ্টমী পালন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন ব্রত পালন করা উচিত। তাই এই ব্রতের নিয়মানুযায়ী এদিন ভোঁর বেলা স্নান করে শ্রীকৃষ্ণ বা গোপালকে পছন্দমত সাজিয়ে পূজা করা প্রয়োজন। পূজার সময় যথাক্রমে বাসুদেব, বলদেব, নন্দরাজ, যশোদামা ও লক্ষ্মীর নাম স্মরণ করে পূজা করতে হয়। মধ্যরাতে ১২ টার সময় জন্মবার্ষিকী উৎযাপন করে, সারারাত জেগে থাকতে হবে। পরদিন সকালে স্নান সেরে ব্রাহ্মণকে দানধ্যান এবং গোপালকে পূজা করে উপবাস ভঙ্গ করতে হয়। তাহলে এই মত ব্রত করে নিজের মনস্কামনার কথা শ্রীকৃষ্ণের কাছে জানালে তা ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করা হয়।