পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ বিমানে যাতায়াত যারা করেন তারা প্রত্যকেই কমবেশি এই তথ্যটির সাথে অবগত যে বিমানে থাকাকালীন মোবাইল ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে হয়। এক দেশ থেকে অন্যদেশের একাধিক দিনের সফর হোক বা ডোমেস্টিক ফ্লাইটে কয়েক ঘণ্টার সফর বিমানে থাকাকালীন সময়ে পুরো সময়টাই ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে হয়। বিমান আকাশে ওড়ার আগেই এটি ঘোষণা করেই জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পিছনে আসল কারণ কী?
এর কারণ বিমান চালনার সময় মোবাইলের সিগন্যাল ন্যাভিগেশন সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলস্বরূপ প্ল্যান ক্র্যাশের মত বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। ‘বিমানচালক এবং ককপিট কনফিডেন্সিয়াল’ বইটিতে লেখক প্যাট্রিক স্মিত এই কথাই উল্লেখ করেন। তবে তিনি আরও বলেন এই ঘটনা নির্ভর করছে কিছুটা গ্যাজেটের ধরণের ওপরেও। মোবাইল ছাড়াও খুব পুরনো কম্পিউটারের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে এই দুর্ঘটনা। তিনি আরও বলেন বিমানের যন্ত্রপাতি এমন ভাবেই তৈরি হয় যাতে মোবাইল বা অন্যকোনও গ্যাজেটের সিগন্যাল থেকে সমস্যা না হয়। তবে ব্যতিক্রমী ঘটনা বহুবার ঘটেছে। মোবাইলের জন্য ককপিটের যন্ত্রপাতি সমস্যা করেছে বহুবার।
বেশ কিছু পাইলটরাও এই বিষয়ে বহুবার মুখ খুলেছে। এক পাইলট তার একটি ব্লগে জানান একবার তার হেডসেটে একটি সিগন্যাল বারবার আসছিল। সেটা দুর্ঘটনা ঘটানোর মত ভয়ঙ্কর নয়, কিন্তু যথেষ্ট বিরক্তিকর তার পক্ষে, ফলে তার মনোযোগে চির ধরছিল, যেটাও কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটার কারণ হতে পারে। তবে মোবাইলের কারণে ২বার ২টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০০০ সালে সুইজারল্যান্ডে ক্রোসাইর প্লেন ক্র্যাশের ঘটনা। মোবাইলের ট্রান্সমিশন বিমানের পাইলটের মনোযোগ বিঘ্নিত করে ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ২০০৩ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টক্রাঞ্চ বিমানের সাথে। তাই যদি ঘোষণা না করাও হয় তবুও ফ্লাইটে উঠলে নিজেরা নিজেদের মোবাইল ফ্লাইট মোডে রাখতে ভুলবেন না।