Home » বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কমলিনীর প্রথম আধুনিক গানে জুটি বাঁধলেন জয় সরকার-শ্রীজাত, গান প্রকাশ করলেন লোপামুদ্রা মিত্র

বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কমলিনীর প্রথম আধুনিক গানে জুটি বাঁধলেন জয় সরকার-শ্রীজাত, গান প্রকাশ করলেন লোপামুদ্রা মিত্র

এই প্রথমবারের মতো মৌলিক বাংলা গানে একজোট হলেন কমলিনী মুখোপাধ্যায়, জয় সরকার, শ্রীজাত। রবীন্দ্রনাথের গানেই নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন, স্বকীয় গায়কী দেশে, বিদেশে শ্রোতাদের মন জয় করে এসেছে পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে। আর,নিজের কথা গানে, গানে শোনাবার তাগিদেই মৌলিক গানে কাজ কমলিনীর।

‘সময় আছে কি নেই ‘, এই গানে প্রথমবারের মতো এক হলেন কবি-গীতিকার শ্রীজাত, সুরকার জয় সরকার এবং কমলিনী। গান প্রকাশ অনুষ্ঠানে চ্যাপ্টার টু, সাদার্ন অ্যাভেনিউ,-তে উপস্থিত ছিলেন কমলিনী মুখোপাধ্যায় ,জয় সরকার, শ্রীজাত,লোপামুদ্রা মিত্র, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানটা নিপুণ দক্ষতায় পরিচালনা করেন রূপশা দাশগুপ্ত। কমলিনী মুখোপাধ্যায় অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটা প্রকাশ পেল।

বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কমলিনীর প্রথম আধুনিক গানে জুটি বাঁধলেন জয় সরকার-শ্রীজাত, গান প্রকাশ করলেন লোপামুদ্রা মিত্র

মানুষ যখন পরিযায়ী হয়, তার ছায়া পড়ে না মাটিতে। এক ঠিকানা থেকে অন্য বাড়ি পর্যন্ত পথ সে সেলাই করে নীরবতার সুতোয়। সে-ই তার যাতায়াত। কখনও সে আঁকড়ে ধরতে চায় নিজের শিকড়, কখনও সে বেঁচে নিতে চায় আগামীর ডাকে। আর এই দোলাচলের মাঝবরাবর তৈরি হয় তার ভাষা, তার সুর। তৈরি হয় পরিযায়ীর গান।

যেমন গানের জন্য আমরা চিনি কমলিনীকে, তার চেয়ে অনেকখানি সরে এসে গানের মধ্য দিয়ে নিজের ছবিই এবার আঁকতে চেয়েছেন তিনি। কমলিনী মুখোপাধ্যায়ের এই নতুন গানে কথা নিয়ে এসেছেন শ্রীজাত, সুর সাজিয়েছেন জয় সরকার। কেবল কাজের খাতিরে নয়, বন্ধুত্বের বারান্দায় এসে পড়া বিকেলের রোদ ছিল বলেই এ-গান অন্যরকম। এ-গান সকলের হয়েও ব্যক্তিগত। যা বলে উঠতে চায় কমলিনীর বেঁচে থাকার কথা, দু’মহাদেশ আর এক সমুদ্রের মাঝখানে।

বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কমলিনীর প্রথম আধুনিক গানে জুটি বাঁধলেন জয় সরকার-শ্রীজাত, গান প্রকাশ করলেন লোপামুদ্রা মিত্র

পড়াশোনাই ছিল কমলিনীর পারিবারিক পরিচয়। সে-ক্ষেত্রে নিজের স্বাক্ষর রেখেও কমলিনী বেছে নিয়েছেন গানের জীবন। যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে প্রথাগত বিদ্যার্জনের পর এখন তিনি দুই মহানগরীর বাসিন্দা। একদিকে নিউ ইয়র্ক সিটি, অন্যদিকে কলকাতা। এই দূরত্বের আড়ালে যে-নৈকট্য, দু’পাশে ধরে রাখা দু’রকম আয়নায় একই মুখচ্ছবির যে-প্রতিফলন, ভালবাসার টানাপোড়েন আর আসা-যাওয়ার দাগ দিয়ে ঘেরা যে-উঠোন, কমলিনীকে তা বরাবরই ভাবিয়েছে। তাই দীর্ঘ পনেরো বছর রবীন্দ্রনাথের গানের পর এই প্রথম কমলিনীর নিজের গান, নিজের জন্য গান। যা তার কথা বলতে চায়, হয়তো আরও অনেকের কথাও। কমলিনী বললেন, ” রবীন্দ্রনাথের গান চিরকাল আমার প্রাণের সখা। ছোট বেলা থেকেই ওঁনার গানে আমি জীবনের সব রকমের উপলব্ধি, অভিব্যাক্তি খুঁজে পাই। এবারের গানটা আমার নিজের জীবনের গান।সেটা আমার কথা ভেবেই কথা-সুরের মায়াজাল বোনা হয়েছে। আমি সেই সব উপলব্ধিকে গান দিয়ে বেঁধেছি। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!