Home » ভারতে প্রথম অ্যাপোলোর ৫ জি -কানেক্টেড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

ভারতে প্রথম অ্যাপোলোর ৫ জি -কানেক্টেড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

কলকাতা ২ জুন,২০২৩: ভারতে সর্বপ্রথম ,পথিকৃৎ অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস,কলকাতা ব্যাপক সম্প্রসারিত ৫ জি -কানেক্টেড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করছে যা হেলথকেয়ার অ্যাকসেসের সংজ্ঞা আমূল বদলে দিয়ে এমার্জেন্সি সংকটে হসপিটালে যাতায়াতের সময় রোগীর প্রাণ বাঁচিয়ে তুলতে পারে।এই কাস্টম ডিজাইন্ড,অত্যাধুনিক ৫জি কানেক্টেড অ্যামবুলেন্সে আছে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম,পেশেন্ট মনিটরিং অ্যাপ্লায়েন্সেস আর টেলিমেট্রি সার্ভিসেস যা পেশেন্টের রোগের যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য খুব তাড়াতাড়ি দেরি না করে হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়।এছাড়া এখানে আছে দ্রুততম গতির ৫জি নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ অনবোর্ড ক্যামেরা। এই ইন্টিগ্রেটেড কানেক্টেড কেয়ার টেকনোলজি সলিউশনের নির্মাতা পৃথিবী শ্রেষ্ঠ হেলথ নেট গ্লোবাল প্রতিষ্ঠান যাঁরা সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন হেলথ টেক সলিউশন প্রদান করেন এবং এটি অ্যাপোলো হসপিটালসের একটি অনুমোদিত শাখা।

ভারতে প্রথম অ্যাপোলোর ৫ জি -কানেক্টেড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

একটি সংকটাপন্ন রোগীকে যখন হসপিটালে আনা হয় তখন প্রত্যেকটি সেকেণ্ড মূল্যবান সেখানে এই ৫জি কানেক্টেড অ্যামবুলেন্স সেখানে হসপিটালের এমার্জেন্সি বিভাগের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে:

ভারতে প্রথম অ্যাপোলোর ৫ জি -কানেক্টেড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

• সর্বক্ষণ হসপিটালের সঙ্গে যুক্ত – এই অত্যাধুনিক হাই স্পিড ৫জি নেটওয়ার্ক ক্রমাগত অ্যাম্বুলেন্স-এর জিও লোকেশন অনুযায়ী হসপিটাল কমান্ড সেন্টারের নির্দেশে সংকটাপন্ন রোগীর কাছে গোল্ডেন আওয়ার বাঁচাতে যে অ্যাম্বুলেন্স সবচেয়ে কাছে আছে সেটা দ্রুত পাঠিয়ে দেয়।এছাড়া এই ৫জি অ্যাম্বুলেন্স রোগীর অসুখের সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য,টেলিমেট্রি ডাটা রিয়েল টাইমে হসপিটালের ডাক্তার আর বিশেষজ্ঞদের কাছে পৌঁছে দেয়।এতে ডাক্তাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এবং অ্যাম্বুলেন্স – এর প্যারামেডিক্সদের তখনি প্রয়োজনীয় ওষুধ,ইনজেকশন ইত্যাদির পরামর্শ দিতে পারেন।এর আর একটি বড় সুবিধে হল রোগীর হসপিটালে আসার আগে থেকেই হসপিটালের কর্মীরা রোগীর চিকিৎসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে যাতে অনেক মহামূল্যবান সময় বেঁচে যায়।

ভারতে প্রথম অ্যাপোলোর ৫ জি -কানেক্টেড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

• এমার্জেন্সি (ER) ফিজিশিয়ান ডাক্তাদের ভার্চুয়ালি অ্যাম্বুলেন্স এ পৌঁছে দেওয়া – অত্যাধুনিক লাইভ ক্যামেরা ফিডের সাহায্যে অ্যামবুলেন্সে উপস্থিত প্যারামেডিক্সরা সহজেই হসপিটালের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সমৃদ্ধ ER ডাক্তারদের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনমতো প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারেন।ডাক্তারেরা ভার্চুয়ালি প্যারামেডিকদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন যাতে মূল্যবান প্রাণ বাঁচানো যায়।

এই যুগান্তকারী ৫জি অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধনে অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের হসপিটাল ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ডঃ হরি প্রসাদ বলেন,’ সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছতে অ্যাপোলো হসপিটালসের নিরলস প্রচেষ্টা থাকে। এই ৫জি কানেক্টেড অ্যাডভান্সড টেকনোলজির দৌলতে আমরা গুরুতর অসুস্থ্য আর আহতদের কাছে পৌঁছতে পারব।রোগীকে হসপিটালে আনার সময় থেকেই অত্যাধুনিক জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী প্রচেষ্টা এবং বহু মূল্যবান প্রাণ বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’

ভারতে প্রথম অ্যাপোলোর ৫ জি -কানেক্টেড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রূপের ইস্টার্ন রিজিওনের সিইও শ্রী রানা দাসগুপ্ত বলেন,’ঐতিহ্যগতভাবে অত্যাধুনিক স্বাস্থসেবায় অগ্রণী এবার এই ৫জি কানেক্টেড অ্যামবুলেন্স সংকটাপন্ন রোগীদের জীবন বাঁচাতে এবং মহামূল্য গোল্ডেন আওয়ার কাজে লেগে রোগীর উপকারে আসবে।এই অ্যাম্বুলেন্স সুপার ফাস্ট স্ট্রিমিং ৫জি টেকনোলজি সমৃদ্ধ বলে পরিস্কার উন্নত মানের রিয়েল টাইম ছবি আর ডেটা পাঠাতে পারবে।রোগীর চিকিৎসা হসপিটালে আসার আগে পথেই শুরু হয়ে যাবে।‘

অ্যাপোলো হসপিটালস কলকাতার ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডঃ সুরিন্দর ভাটিয়া বলেন, ‘এমার্জেন্সি চিকিৎসার ক্ষেত্রে গোল্ডেন আওয়ারের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল এবং সময়ের একটু এদিক ওদিক হলে গুরুতর অসুস্থ্য ও ট্রমা পেশেন্টদের ক্ষেত্রে প্রাণসংশয় হতে পারে।এই মহামূল্যবান গোল্ডেন আওয়ারের প্রভাব পড়ে সঠিক সময়ে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা আর রোগীর বাড়ি থেকে হসপিটালের দূরত্বের ওপর।রিসার্চে দেখা গেছে হসপিটালের জন্য দীর্ঘ যাত্রার সঙ্গে মৃত্যুহারের সম্পর্ক আছে ,১০ কিলোমিটারের স্ট্রেট লাইনের বেশি যাত্রায় ১% মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।প্রি হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের পরিবর্তে আমরা এটা বলতে পারি এই ৫জি কানেক্টেড অ্যামবুলেন্স পরিষেবা ‘হসপিটালস অন হুইলস’ হয়ে উঠে রোগীকে হসপিটালে আসার আগেই প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারছে। এর অসম্ভব গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা এই ৫জি কানেক্টেড অ্যামবুলেন্স এনেছি যাতে নির্বিঘ্নে নিরবিচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি পাওয়া যায়।’

অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস কলকাতার ডিপার্টমেন্ট অফ ইমার্জেন্সি মেডিসিনের হেড,সিনিয়র কনসালটেন্ট ডঃ অরিজিৎ বোস বলেন,’এই ৫জি কানেক্টেড অ্যামবুলেন্সের সুপার ফাস্ট স্ট্রিমিং আর ইমেজ ক্ল্যারিটির দৌলতে আমরা ঠিক সময়ে,এমনকি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাত্রাপথে অ্যামবুলেন্সেই চিকিৎসা শুরু করে দিতে পেরে বহু মূল্যবান প্রাণ বাঁচাতে পারব।শুধু মেডিকেশন নয়,ইন্টারভেনশন্স আর ইনটিউবেশন চিকিৎসাও এই অ্যাম্বুলেন্স এ সম্ভব।’

অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (AHEL) বিষয়ে –

সালটা ছিল ১৯৮৩ যখন ডঃ প্রতাপ সি রেড্ডির যুগান্তকারী অগ্রণী ভূমিকায় চেন্নাইতে ভারতের প্রথম কর্পোরেট হসপিটাল সৃষ্টি হল। যা এখন এশিয়ার সবচেয়ে বিশ্বস্ত ইন্টিগ্রেটেড হেলথকেয়ার গ্রূপ,১২০০০ বেড ,৭১টি হসপিটালস,৩৩০০ ফার্মেসি,৯০র বেশি প্রাইমারি কেয়ার ক্লিনিক,১৫০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ১১০টির বেশি টেলিমেডিসিন সেন্টার,১৫টির বেশি মেডিক্যাল এডুকেশন সেন্টার এবং গ্লোবাল ক্লিনিকাল ট্রায়াল,এপিডেমিওলজিকাল স্টাডিস,স্টেম সেল আর জেনেটিক রিসার্চের জন্য রিসার্চ ফাউন্ডেশন, অত্যাধুনিক চিকিৎসাক্ষেত্রের উন্নতি ও প্রসারে সদা অগ্রণী অ্যাপোলো হসপিটালসের সাম্প্রতিক সংযোজন চেন্নাইতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম প্রোটন থেরাপি সেন্টার।

প্রত্যেক ভারতীয়দের কাছে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার মিশন নিয়ে প্রত্যেক ৪ দিনে অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রূপ ১০ লক্ষ মানুষের জীবন স্পর্শ করে।অ্যাপোলোর এই মহান কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার একটি দুর্লভ সন্মান প্রদান করে একটি স্মারক স্ট্যাম্প সৃষ্টি করেছে যা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রথম।অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রূপের চেয়ারম্যান ডঃ প্রতাপ রেড্ডি ২০১০ সালে মর্যাদাপূর্ণ পদ্ম ভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।

দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রূপ স্বাস্থসেবা ক্ষেত্রে নিরলস উন্নতিসাধনে ব্যাপ্ত এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন অগ্রগতিতে,বিশ্বমানের ক্লিনিকাল সার্ভিসে,অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে।এর সমস্ত হসপিটালসগুলি উন্নত মেডিকেল পরিষেবায় ক্রমাগত ভারতের শ্রেষ্ট হাসপাতালের শিরোপা অর্জন করে চলেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!