Home » মহাগুরু “বেলে বোড়াও না, জলঢোড়াও না, জাত গোখরো থেকে এবার কাবুলিওয়ালা।

মহাগুরু “বেলে বোড়াও না, জলঢোড়াও না, জাত গোখরো থেকে এবার কাবুলিওয়ালা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টি “কাবুলিওয়ালা”-র গল্প আমরা অনেকেই জানি একথা টা আজ বলতে সত‍্যিই একটু কিন্তু বোধ হয়। বরং বলাভালো বর্তমানে সাহিত্যচর্চা বা সাহিত্যপ্রিয় মানুষ ছাড়া বোধহয় রবীন্দ্রনাথ নাথ কেই বর্তমান প্রজন্ম ঠিক ভাবে  চেনেননা। তাই বর্তমান প্রজন্মকে নতুন করে রবীঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্প শোনাতে, বরং দেখাতে আসছে এসভিএফ।

মহাগুরু "বেলে বোড়াও না, জলঢোড়াও না, জাত গোখরো থেকে এবার কাবুলিওয়ালা।

রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা নিয়ে প্রথম ছবি হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। পরিচালক – তপন সিনহা। কাবুলিওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছবি বিশ্বাস, যা আজও চলচ্চিত্র জগতে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। তবে এর পরে ১৯৬১ সালে মুম্বাইতে হিন্দিতে আবার কাবুলিওয়ালা তৈরী হয়। পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন বিমল রায়। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলরাজ সাহানি।

মহাগুরু "বেলে বোড়াও না, জলঢোড়াও না, জাত গোখরো থেকে এবার কাবুলিওয়ালা।

বিশ্বকবির এই বিখ্যাত ছোট গল্পে, রহমত শেখ একজন ফল বিক্রেতা যে সুদুর আফগানিস্তানের কাবুল শহর থেকে কলকাতায় এসে ব‍্যাবসা করছিল এবং সেই সুত্রেই তার সাথে আলাপ হয় এক বাঙালি লেখকের সাথে। লেখকের ছোট্ট মেয়ে মিনির সাথে ভাব জমে কাবুলিওয়ালার। সে কাবুলে রেখে আসা ছোট্ট মেয়েকে খুঁজে পায় মিনির মধ‍্যে। মিনি কে দেখে তার মেয়ের কথাই স্মৃতিচারণ করতো।

রহমত শেখ থাকতো তার দেশের লোকজনদের সাথে একটি মেস বাড়িতে আর ফল, বাদাম, হিং ইত্যাদি ফেরি করেই ব‍্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎই কাবুল থেকে তার মেয়ে চিঠি লিখে জানায় সে অসুস্থ। খবর পেয়ে রহমত দেশে ফেরার কথা সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু টাকার অভাবে তা ত‍ৎক্ষনাত সম্ভব হয়না। সে ব‍্যাবসা বাড়াতে ও টাকার অভাব মেটাতে ধারে জিনিস বিক্রি করতে থাকে এবং পরবর্তীকালে পাওনা টাকা আদায় করতে গেলে বিবাদে জড়িয়ে পরে চরম অপমানিত হয়। রাগের বশে সে খুন করে ফেলে।

মহাগুরু "বেলে বোড়াও না, জলঢোড়াও না, জাত গোখরো থেকে এবার কাবুলিওয়ালা।

আদালতে রহমতের উকিল রহমত কে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও রহমত নিজের অপরাধ স্বীকার করেনেয় এবং তার দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়। দশ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পায় রহমত। কারাগার থেকে বেরিয়ে রহমত যায় মিনির সাথে দেখা করতে। রহমত দেখতে পায় মিনি বড় হয়েগেছে। তার বয়স এখন চোদ্দ। সামনেই তার বিয়ে। সে এখন আর রহমত কে চিনতে পারছেনা। রহমত ভাবতে থাকে তাকে তার মেয়েও হয়তো চিনতে পারবে না, তার মেয়ে তার বাবা কে ভূলে গিয়েছে। মিনির বাবা মিনির বিয়ের টাকা থেকেই কিছু টাকা রহমত কে দেন যাতে রহমত আবার দেশে তার মেয়ের কাছে ফিরে যেতে পারে।

মহাগুরু "বেলে বোড়াও না, জলঢোড়াও না, জাত গোখরো থেকে এবার কাবুলিওয়ালা।

এই রহমত শেখের চরিত্রেই দেখা যাবে বাংলা তথা মুম্বাইয়ের দাপুটে অভিনেতা তথা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী কে। আজ কিছুক্ষন আগেই এস ভি এফ অর্থাৎ শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মস তাদের সামাজিক মাধ‍্যমে কাবুলিওয়ালার ফার্স্ট লুক মোশন টিজার শেয়ার করেছেন। কাবুলিওয়ালা আবার বড় পর্দায় ফিরছে আসন্ন বড়দিনে। পরিচালনার দায়িত্বে এবার সুমন ঘোষ।

তপন সিনহার পরিচালনায়, ছবি বিশ্বাস অভিনীত সেই কাবুলিওয়ালা কে কি আদৌ ভোলাতে পারবেন পরিচালক সুমন ঘোষ? সেটাই এবার দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!