যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গ্রেফতার আরও তিন। এ নিয়ে যাদবপুর কান্ডে (Jadavpur University student death) মোট গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ১২। সূত্রের খবর, দিনভর ম্যারাথন জিজ্ঞেসাবাদের পর আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার জিজ্ঞেসাবাদের পর গ্রেফতার হওয়া ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দু’জন প্রাক্তন ছাত্র। দুর্ঘটনার সময়ে হস্টেলে উপস্থিত ছিলেন গ্রেফতার হাওয়া তিন ছাত্র।
দিনভর জিজ্ঞেসাবাদের পরই তাঁদের গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, এর আগে যাদবপুরের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ, দীপশেখর দত্ত সহ আরও ৬ জন সহ আবাসিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে খবর, গত ৯ই আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফ থেকে উঠে আসে র্যাগিং’এর অভিযোগ। মৃত ছাত্রের বাবা পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে খুনের অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর দিনই বাড়ি চলে এসেছিলেন ধৃত শেখ নাসিম আখতার। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা নাসিম রসায়ন বিভাগের প্রাক্তনী।
গ্রেফতার হিমাংশু কর্মকার নামে আরও এক প্রাক্তনী। সামসেরগঞ্জের বাসিন্দা হিমাংশু গণিত বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এ ছাড়া সত্যব্রত রায় নামে চতুর্থ বর্ষের আরও এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র। উল্লেখ্য, এই সত্যব্রতই ঘটনার দিন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, হস্টেলে থেকে এক ছাত্রকে ঝাঁপ দিতে বলা হচ্ছে। সেই সত্যব্রতকেই টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ।