কলকাতাঃ চাঁদের মাটি ছুঁয়ে কিছুক্ষণের বিশ্রাম। তারপরই খুলে গেল ল্যান্ডার বিক্রমের দরজা। ল্যান্ডার থেকে নেমে এল রোভার ‘প্রজ্ঞান’। ভারতীয় সময় বুধবার সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ভারতের মুকুটে জুড়েছে নয়া পালক। তবে এবার প্রশ্ন কীভাবে কাজ করবে এই ল্যান্ডার?
ইসরো সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি রয়েছে প্রজ্ঞানে। চাঁদের দক্ষিন মেরুতে এই প্রথম মহাকাশযান পাঠাল কোনও দেশ। এই অংশের বেশিরভাগ তথ্যই অজানা মানুষের। আর এই অজানাকেই জানবে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের এই অংশের মাটি কী কী উপাদান দিয়ে তৈরি তাও খতিয়ে দেখবে প্রজ্ঞান। আগামী দু’সপ্তাহ ধরে এর স্পেকট্রোমিটার বিশ্লেষণ করবে। এর সাহায্যে চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে তা খতিয়ে দেখবে প্রজ্ঞান। পরীক্ষাগুলি করার জন্য ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে রয়েছে পাঁচ ধরনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি।
প্রসঙ্গত, এই বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে চন্দ্রদিন। এই সময় চাঁদের অন্যপ্রান্তে পড়ছে সূর্যের হালকা আলো। এই আলোকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর হিসেবে মাত্র ১৪ দিন যা চাঁদের নিরিখে এক চন্দ্রদিন কাজ করবে চন্দ্রযান-৩। ‘বিক্রম’ ল্যান্ডারে রয়েছে তিনটি পেলোড। তার মধ্যে RAMBHA-LP চন্দ্রপৃষ্ঠের প্লাজমার ঘনত্ব এবং সময়ের সঙ্গে তার পরিবর্তন পরিমাপ করবে। অন্যদিকে, চাঁদের বায়ুমণ্ডলের মৌলিক গঠনের উপর তথ্য সংগ্রহ করবে ৬ চাকার রোভার। রোভারেও ২টি পেলোড। চন্দ্রপৃষ্ঠের মৌলিক গঠন বোঝার পাশাপাশি, চাঁদে থাকা পাথরের রাসায়নিক উপাদান নিয়ে পরীক্ষা চালাবে তারা।
তবে এতকিছু করতে হবে মাত্র ১৪ দিনে। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদের দক্ষিন ভাগের এই অংশে তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের ২০০ ডিগ্রি নীচে। এই অংশে বরফের আকারে জল থাকতে পারে। আজ থেকে শুরু তথ্য পাঠানো ও দিনগোনা।