কলকাতাঃ মুহূর্তে বিতর্কের কেন্দ্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চলছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা, কাদা ছোড়াছুড়ি। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভাষায় তীব্র আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ। দিনকয়েক আগেই যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’- এর প্রসঙ্গে টেনেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার ভাটপাড়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গলাতেও একই সুর।
JNU-র প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাইরে বেরোও দেখি, কত আজাদির কথা বলছ, বুঝে নেব। এই সব সমাজবিরোধীদের মাথা থেঁতো করে দেওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে যাদবপুরে জয় শ্রীরাম স্লোগান হবে। এই প্রসঙ্গে, রাজ্যসরকারকে নপুংসক আখ্যা দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সংযোজন,’কাশ্মীর ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছে,আর যাদবপুর ইউনিভার্সিটি কোন ছাড়! বুটের লাথি মেরে অন্য ইউনিভার্সিটি ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছে।’
কিছুদিন আগে, বিজেপি যুব মোর্চার কর্মসূচি থেকে যাদবপুরের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন,’যে পার্টি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে ফেলে দিয়েছে, উপড়ে ফেলে দিয়েছে..আমরাও এখান থেকে এই তথাকথিত টুকরে টুকরে গ্যাং, দেশবিরোধী শক্তি, ইনকিলাবি নাড়া, চিন যাদের বাপ আর মা, মমতা ব্যানার্জি যার গার্জেন তাদেরকে তুলে ফেলব। এ দায়িত্ব আমাদের।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার 8B বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। এরপর শুভেন্দু গাড়ি ঘুরিয়ে যাদবপুর থানার দিকে এগোন। সেই সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে। অশান্তির এই আবহে মাটিতে পড়ে যান এক যুবক। নাক-মুখ ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে তাঁর। এই ঘটনার পরই, যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন শুভেন্দু।