শুক্রবার প্রকাশ্যে কীর্তনের (Kirton) এল প্রচার ঝলক। এক ছেলে ও শ্বশুর অবিনাশকে নিয়ে ছোট্ট সংসার মণিমালার ও অরুপের। সংসারের সব দায়িত্ব মণিমালার। তাঁর স্বামীর পৈত্রিক ভিটেতে ছোট-ছাপোষা সংসার তাঁদের। কিন্তু সেই বাড়িতে থাকতে মন চায়না মণিমালার। আর পাঁচটা মেয়ের মত মণিমালারও ইচ্ছে একটা ঝকঝকে ফ্ল্যাটে সংসার পাতবেন।
অন্যদিকে, মণিমালার শ্বশুর অবিনাশ বাঁচেন বাড়ির পুরনো স্মৃতি আগলে ধরে। ব্যস, আর কী! গৃহে ঠাণ্ডা যুদ্ধের সূত্রপাত। আমাদের আশেপাশে তাকালেই এরকম বেশ কয়েকজন মণিমালা-অবিনাশ দেখতে পাওয়া যায়।
ছাপোষা মধ্যবিত্ত বাড়ির গল্পকে বড় পর্দায় সাজিয়েছেন পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। ছবির মুখ্যচরিত্র মণিমালার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অরুণিমা ঘোষ। তাঁর শ্বশুরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। মণিমালার স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়।
মজা, দ্বন্দ্ব, মান অভিমান, ঝগড়া ইত্যাদি নিয়েই চিত্রনাট্য সাজানো। শুক্রবার প্রকাশ্যে এল ছবির প্রচার ঝলক। অনেক দিন পর অরুণিমাকে বড়পর্দায় মধ্যবিত্ত বাড়ির বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে, ‘মায়াকুমারী’-তে ছবিতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। এই ছবিতে অরুণিমার চরিত্র ছিল একেবারে ভিন্ন। খুনসুটি, মজা ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গেই ছবিটির বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বাঙাল-ঘটির দ্বন্দ্ব।
সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানান, ‘বাস্তবেও চিত্রটা খানিকটা এমনটাই। আমি সত্যিই ঘটি। আর পরানদা বাঙাল। এই গল্পটার জন্য আমি কিছুটা মোটাও হয়েছিলাম। আমার আর পরানদার বাঙাল-ঘটি নিয়ে কিন্তু ঝামেলাটা দারণ জমেছিল। খুব উপভোগ করেছি। আর বহু দিন বাদে এমন মধ্যবিত্ত বাড়ির বৌয়ের চরিত্রে অভিনয় করলাম, আরও ভাল লেগেছে।’