অ্যামাজন। বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। জলবহনের ক্ষমতা বিচার করলে, প্রথম। দক্ষিণ আমেরিকার ছ’টি দেশের উপর দিয়েছি বয়ে গিয়েছে অ্যামাজন। যার প্রতি বাঁকে উঁকি দেয় রহস্য। আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানবো অ্যামাজনের এক অজানা রহস্য।
জানেন কী বিশ্বের দীর্ঘতম নদী আমাজনের ওপর আজ পর্যন্ত কেউ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখাননি। কিন্তু কেন? সেতুতে কি সমস্যা আমাজনের?
আসলে, আমাজনের উপর সেতু তৈরি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। পৃথিবীর অন্যতম বড় নদীর অস্থির আচরণই এর জন্য দায়ী। বর্ষাকালে আমাজন নদীর প্রস্থ হয়, স্বাভাবিক প্রস্থের চেয়ে প্রায় ১০ গুন বেশি। তখন নদীর এক ভয়াবহ রূপ প্রকাশ্যে আসে। দুকূল ছাপিয়ে চওড়া হয়ে ওঠে আমাজন। জলের পরিমাণ বেড়ে যায় অনেক বেশি। তাই এই নদীর উপত্যকা সেতু তৈরির জন্য বিপদজনক।
মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্যই সাধারণত সেতু তৈরি করা হয়। কিন্তু আমাজনে দুই উপত্যকা জনবিরল। এছাড়াও নদীর দীর্ঘ যাত্রাপথের সিংহভাগই জঙ্গল। গতিধারার যেখানে শহর রয়েছে, সেখানে ফেরির বন্দোবস্ত চালু থাকলেও, সেতু নেই।
আমাজন নদীর গভীরতা অনেক বেশি। দুই ধারের অববাহিকার মাটিও অত্যন্ত নরম। তাই সেতু নির্মাণ করতে হলে অনেক গভীর এবং পোক্ত ভিতের দরকার। যা বেশ ব্যয়বহুল। কিন্তু আমাজন সংলগ্ন দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির সরকারের অর্থনৈতিক সামর্থ্য নেই। তাই সেতুর চাহিদা বিলাসিতার চেয়ে কম কিছু নয়।
এই নদীতে রয়েছে এমন কিছু প্রজাতি এবং উদ্ভিদ যা পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। আমাজনে দেখা পাওয়া যায় মানুষকে খুব পিরানা মাছ, বিষাক্ত ব্যাংক এবং অ্যানাকন্ডার মত ভয়ংকর প্রাণী। যাদের বসবাস নদী সংলগ্ন রেন ফরেস্টে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই সমস্ত বিরল প্রাণকে তাদের মতো করেই থাকতে দেওয়া ভালো। জল ঘেঁটে সেতু তৈরি করলে তাদের স্বাভাবিক জীবন গতিতে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এছাড়াও আমাজনের দুই তীরের অববাহিকা বেশ ভঙ্গুর। যখন তখন ধ্বস নামে সেখানে। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জন্ম নেয় ছোট