যে কেউ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে। কাশি এবং সর্দি সম্ভবত সব বয়সের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ অসুস্থতা।
আপনি সহজে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কাশি এবং সর্দির চিকিৎসা করতে পারেন যা আপনাকে বিরক্তিকর উপসর্গ থেকে দ্রুত এবং তাৎক্ষণিক রেহাই দেবে।
এখানে কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা কাশি এবং সর্দির জন্য বিস্ময়কর কাজ করবে:
দুধ ও হলুদ: এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এই মিশ্রণটি কাশি এবং সর্দির বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি কার্যকর উপায় এবং এটি শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও প্রযোজ্য। হলুদ এর অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে সংক্রমণকে পরাস্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
আদা চা: আদার অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এবং এটি কাশি এবং সর্দি নিরাময়ের জন্য একটি আশ্চর্যজনক বিকল্প। সর্দি এবং ফ্লুর উপসর্গের জন্য, তাজা আদা সূক্ষ্ম টুকরো করে কেটে নিন এবং এক কাপ গরম জলে যোগ করুন এবং পান করুন। এটি সর্দি এবং ফ্লুর সাথে যুক্ত গলা ব্যথা উপশম করতেও সহায়তা করবে।
লেবু এবং মধু: এই মিশ্রণটি প্রাকৃতিকভাবে সাধারণ সর্দি এবং কাশির চিকিৎসার আরেকটি দুর্দান্ত বিকল্প। এক গ্লাস কুসুম গরম জলে দুই চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস যোগ করুন এবং ঠান্ডা প্রতিরোধে পান করুন।
তুলসী পাতা এবং আদা: হিন্দু বিশ্বাসে একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসাবে বিবেচিত, তুলসী পাতা সর্দি এবং কাশি সহ বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে এক কাপ জলে তুলসী পাতা ও এক টুকরো আদা মিশিয়ে নিন। পরিমাণ অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত এই মিশ্রণটি ধীরে আঁচে সিদ্ধ করুন। দিনে অন্তত দুবার এটি পান করুন। এটি বাচ্চাদেরও দেওয়া যেতে পারে।
রসুন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, রসুন আপনাকে কাশি এবং সর্দি থেকে রক্ষা করতে পারে। রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা দুর্দান্ত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বলে পরিচিত। ৪-৫ কোয়া রসুন নিয়ে ঘি দিয়ে ভেজে নিন। এটি গরম ভাতের সাথ খাবেন।
আপনি ভেজিটেবল স্যুপের মতো অন্যান্য খাবারে ঘিতে ভাজা রসুনও যোগ করতে পারেন। এটি আপনার গলাকে প্রশমিত করবে এবং পুরু শ্লেষ্মাকে তরল করতে সাহায্য করবে, এতে কফ বের করা সহজ হবে।
উপরের ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ছাড়াও, একজনকে প্রচুর পরিমাণে তরল যেমন জল, হার্বাল চা এবং স্যুপ খাওয়া উচিত।