বৈশালী মণ্ডলঃ জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়।
আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত এই রীতি পালন করা হয়।করোনার কারণে মাঝের দুই বছর বন্ধ থাকলেও ২০২২ সালে আবারও এই কামাক্ষায় অম্বুবাচী উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
কামাখ্যা মন্দির হল ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পর্বতে অবস্থিত হিন্দু দেবী কামাখ্যার একটি মন্দির। এটি ৫১ সতীপীঠের অন্যতম।
যাঁরা আদি শক্তির বিভিন্ন রূপ পুজো করেন, যেমন মা কালী, দেবী দুর্গা, দেবী জগদ্ধাত্রী, মা বিপত্তারিণী,মা শীতলা, দেবী চণ্ডীর মূর্তি বা পট পূজা করেন, তাঁরা এই সময়ে মূর্তি বা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
৫১টি শক্তি পীঠের মধ্যে একটিতে এবং ৪টি আদি শক্তি পিঠগুলির মধ্যে, কামাখ্য মন্দিরটি বিশেষ কারণ দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি এখানে পড়েছিল এবং এইভাবে দেবী কামাখ্যাকে উর্বরতার দেবী বা “রক্তক্ষরণকারী দেবী” বলা হয়।
অম্বুবাচীর তিন দিন পর্যন্ত কোনও রকমের মাঙ্গলিক কার্য করা যায় না। চতুর্থ দিন থেকে মঙ্গলিক কাজে বাধা থাকে না।
আম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে ও এই সময়ে মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকে।কামাখ্য মন্দিরটির চত্বরে দশমহাবিদ্যার মন্দিরও আছে।
দশমহাবিদ্যা অর্থাৎ কালী , তারা , ষোড়শী , ভুবনেশ্বরী , ভৈরবী , ধূমাবতী , ছিন্নমস্তা ,বগলামুখী , মাতঙ্গী ও দেবী কমলা – এই দশ দেবীর মন্দিরও রয়েছে।
এর মধ্যে ত্রিপুরাসুন্দরী, মাতঙ্গী ও কমলা প্রধান মন্দিরে পূজিত হন। অন্যান্য দেবীদের জন্য পৃথক মন্দির আছে। হিন্দুদের, বিশেষত তন্ত্রসাধকদের কাছে এই মন্দির একটি পবিত্র তীর্থ।