বৈশালী মণ্ডলঃ ফুচকা অতি লোভনীয়, ফুচকা প্রেমি নয় এরকম কেউ নেই সন্ধ্যা হলেই মনটা ফুচকা পাপরি চার্ট ভেলপুরি দই ফুচকা মন খারাপে ও ফুচকা কাছে পেলেই সব ভুলে যায়
কিন্তু কোথা থেকে এলো এই ফুচকা ফুচকার ইতিহাস কি কে বানিয়েছিল এই প্রথম ফুচকা কখনো জানতে চাননি শুনে আবার ভাবছেন তো ঠিকই তো কখনো এটা তো ভেবে দেখিনি দেখে নিন তাহলে কোথা থেকে এলো প্রথম কে বানিয়েছিল প্রথম কে খেয়েছিল সবকিছু
অঞ্চলভেদে পানিপুরির নাম পরিবর্তিত হয়। মহারাষ্ট্রে, এটি পানি পুরি নামে হরিয়ানা এটি পানি পাতাশি
মধ্যপ্রদেশে ফুলকি,উত্তরপ্রদেশে পানি কে বাতাশে,পদকে ,আসামে ফুসকা,পুস্কা গুজরাটের কিছু
অংশে পাকোডি, ওডিশায় গুপ-চুপ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় বাংলা, বিহার ও নেপালে ফুচকা।
এটি উত্তর ভারতের কিছু অংশে বিশেষ করে (দিল্লি এবং পাঞ্জাব) এবং পাকিস্তানে গোল গাপ্পা নামে জনপ্রিয়।
কথিত আছে ফুচকার আবির্ভাব রামায়ণ সময়কাল থেকে দশরথের স্ত্রী কৈকেয়ীর কাছে খুবই অল্প পরিমাণ কচুরি
বানাবার দ্রব্য থাকে কিন্তু দশরথের চার সন্তানকে পেট ভরতে হবে কি করবেন ভেবে না পেয়ে বসে অনেক চিন্তা
করে
তখন তার মাথায় আসে কচুরি কে যদি ছোট ছোট ভাগ করে দি তাহলে সবারই পেট ভরবে তখন সে ছোট
ছোট কচুরি বানালো সবাই খেলো এই ছোট কচুরি হলো পরে নাম হল ফুচকা পানি পুরি গোলগাপ্পা গুপচুপ বা
পাকোদি।
আবার অনেকে বলে পাণ্ডবেরা যখন বনে সন্ন্যাসী ছিলেন তখন সদ্য বিবাহিত দ্রৌপদী কুন্তীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসেন সেই সময় কুন্তী তার পরীক্ষা নেন পরিমাণে অল্প আলু ও অল্প আটা দিয়ে তার ৫ ছেলের খুদা মেটাবার কথা বলেন তখন দ্রৌপদী আটা দিয়ে খুবই ছোট ছোট লুচি এবং তাতে পুর ভরে দেয় মনে করা হয় সেটি প্রথম ফুচকা।
১০ মার্চ ২০০৫-এ “পানি পুরি” অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধানে যোগ করা হয়।