পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ কিছুদিন ধরেই লোডশেডিং বেড়েই চলেছে রাজ্যে। কলকাতাতে লোডশেডিং এর পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম হলেও রাজ্যের অন্যান্য জেলায় এই সমস্যা কলকাতা থেকে বহুগুণ বেশি। কারেন্ট একবার গেলে মোটামুটি ১ ঘণ্টা তো লেগেই যাচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার দিনভর কারেন্টের দেখা নেই। কারেন্ট একবার চলে গেলে কখন আসবে তার কোনও নিশ্চয়তা থাকছে না একেবারেই। উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ কোনও জেলাই বাদ নেই।
জেলার বিদ্যুৎ অফিস গুলিতে অভিযোগ পড়ছে রোজ। তীব্র দাবদাহে গরম সহ্য করতে না পেরে অতিষ্ঠ মানুষ। বিপর্যস্ত মানুষ তাই বারবার নিজেদের সমস্যা তুলে ধরছে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস গুলিতে। কিন্তু এর কোনও সঠিক উত্তর বা কারণ কোনটাই দিতে পারছে না তারা। ফলত বহু জেলাতেই অফিস ভাঙচুরের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত বৃহস্পতি বার রাজ্যজুরে লোডশেডিংএর মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, তাই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এর কারণ বলা হচ্ছে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের যোগান অনেক কম। গত বৃহস্পতি বার রাজ্য জুড়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১১০০ মেগাওয়াট।
এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অবশ্য বিদুতের ঘাটতির কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। এই ঘটনার কারণ হিসেবে তিনি জানান দুর্গাপূজা আসন্ন। সেই সময় যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবাতে কোনও সমস্যা না হয় সেগুলি দেখার জন্যই ঘটছে এই ঘটনা। আর সেই রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই শাটদাউন করা হচ্ছে বলে তার দাবী। অপরদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে বিদ্যুৎ ঘাটতির কথাই জানান। তার মতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কয়লা সরবরাহ কম বলেই এই ঘাটতি হচ্ছে। ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট। তবে বৃহস্পতি বারের পর থেকে কলকাতায় লোডশেডিংএর পরিমাণ কমলেও রাজ্যে তার পরিমাণ একই রয়ে গেছে।