সঙ্গীত প্রেমী নন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই ভীষন কম আজকের দিনে। ভারতের সঙ্গীত জগতে বাংলা ও বাঙালি সঙ্গীত শিল্পীদের অবদান প্রায় 80%। কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধরে বেসরকারী টিভি চ্যানেলে আয়োজিত গানের রিয়েলিটি শো এবং সস্তা ইন্টারনেটের দৌলতে আজ সঙ্গীতের মান ও ব্যাবসা প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। এখন আর আগের মতো অডিও ক্যাসেট বা সিডি কেনার প্রতি মানুষের ঝোঁক নেই। স্মার্ট ফোনে যখন যে গান পছন্দ সেটাই শোনা যায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় না করেই। একটা সময় গানের নকল অডিও ক্যাসেট বা সিডির ব্যাবসা করেও কিছু মানুষ প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন, কিন্তু এই নকল ক্যাসেট সিডির ব্যাবসা থেকে সঙ্গীত শিল্পী ও প্রযোজক কোম্পানির এক পয়সাও লাভ হতো না। সবটাই চলে যেত অসাধু ও মাফিয়া সঙ্গীত ব্যাবসায়ীদের কাছে। মজার ব্যাপার হল, এই অসাধু ব্যাবসা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে নিতেই ইন্টারনেট এতটাই সস্তা হয়েগেল যে অডিও ক্যাসেট সিডি সব বাজার থেকে ভ্যানিশ হয়েগেল। সমগ্র সঙ্গীত ব্যাবসাতেই এলো চরম ভাটা। সঙ্গীত শিল্পীদের কাছে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গান গাওয়া আর কালে ভদ্রে মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করা ছাড়া আর কোন উপায় বর্তমানে নেই। আর মঞ্চের অনুষ্ঠান আগের মত সারারাত ব্যাপি হবার কোন নিয়ম নেই। আইনি জটিলতায় সময় সীমা বেধেঁ দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই।
এখন সঙ্গীত শিল্পীদের দেখা যায় বিভিন্ন গানের রিয়েলিটি অনুষ্ঠানে। কিন্তু সেখানেও বিচার পদ্ধতিতে থাকে প্রযোজকের ইশারা। সে নিয়েও কম বিতর্ক নেই। সোনু নিগম, অমিত কুমার, কুমার শানু এমন কি কৌশিকি চক্রবর্তীও এ নিয়ে প্রকাশ্যে মূখ খুলেছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। কারন সে সবই ছিল একটি ব্যাবসায়িক আঙ্গিকে। প্রযোজকের প্রযোজনা তো বিজ্ঞাপন আর অনুষ্ঠানের TRP -র ওপরে নির্ধারিত হয়, সেখানে প্রতিভা খোঁজে কজন? এছাড়া ভোটিং এর অদৃশ্য খেলা যার বলে প্রথম সারির প্রতিযোগী কে শেষের দিকে আর শেষের দিকের প্রতিযোগীকে প্রথম দিকে উঠে আসার খেলাও দেখেছি। এবং অদ্ভুত ভাবেই এই সব গানের রিয়েলিটি শো তে বিজয়ী শিল্পীদের হারিয়ে যেতে দেখেছি, দেখেছি গান ছেড়ে অন্য কোন পেশা কে অবলম্বন করতে অন্য দিকে এই সব অনুষ্ঠানে বাতিল শিল্পীরাই আজ জগত বিখ্যাত।
তবে এবার সঙ্গীত জগতের এই অসময়ে, অসাধু সঙ্গীত ব্যাবসায়ীদের হাতে প্রকৃত প্রতিভা গুলি যাতে কোন ভাবেই বিপথে চালিত না হয় সেই দায়ভার নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে এগিয়ে এলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী তথা সকলের প্রিয় গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। তবে শুধুমাত্র সঙ্গীত জগতকেই নয়, যেকোন নতুন প্রতিভা কে তিনি দারুণ ভাবে অনুপ্রানিত করেন সে কথা আমরা আগেই জেনেছি।
আজ কিছুক্ষন আগেই আপামোর বাঙালির এই প্রিয় গায়িকা তার সামাজিক মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা করেছেন। প্রাপ্ত বয়স্ক যেকেউ বাংলার যেকোন ভাব ধারার গানে পারদর্শী হলেই এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। আমরা ভীষন আশাবাদী ইমন চক্রবর্তী প্রডাকশনের হাত ধরে বাংলার নতুন সঙ্গীত প্রতিভারা সামনের দিকে এগিয়ে আসতে পারবেন বলেই। এই অনুষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য জানতে, আপনাদের সকলের জন্য দেওয়া রইলো ইমন চক্রবর্তী প্রডাকশনের অসম্পাদিত লিঙ্ক।