বিগত বেশ কিছু দিন ধরে নানান সংবাদ মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম কলকাতায় এখন সামান্য তর্ক বিতর্কেই বেরিয়ে পরছে পিস্তল, ওয়ান শাটার , বোমা ইত্যাদি। কেউ তার ব্যাবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী কে বদনাম করার জন্য তার গ্যারাজে লুকিয়ে রেখে যাচ্ছে বেয়াইনি অস্ত্র। আবার কোথাও সামান্য চরকের মেলার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চলছে গুলি । সমাজবিরোধী থেকে স্কুল ছাত্র সকলের হাতেই উঠে আসছে বেয়াইনি অস্ত্র ।মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয়েছে ধর পাকড় । বিরোধী দল তাদের ধর্ম অনুযায়ী মাননীয়া কে এই সব কিছুর জন্য দায়ি করতে কোন রকম ভাবে পিছুপা হননি । কিন্তু অস্ত্র তো দলমত নির্বিশেষে আজ প্রায় সকলের হাতেই চলে আসছে খুব সহজেই। কিন্তু কি ভাবে ? এক সময় বেয়াইনি অস্ত্রের মুল উতপাদন কেন্দ্র ছিল বিহারের মুঙ্গের জেলা। কারন সেখানে ভারতের অন্যতম অস্ত্র কারখানা ছিল। শোনা যায়, সেই অস্ত্রের কারখানা থেকে অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীরাই পরবর্তী কালে নিজেরদের বাড়িতে বা গোপন আস্তানায় অস্ত্র তৈরি শুরু করেন উপার্জনের জন্য । কিন্তু এখন মুঙ্গের ছারাও নানান জায়গায় শুরু হয়েছে বেয়াইনি অস্ত্রের কারখানা। আপনিও চাইলে পেয়ে যেতেই পারেন খুব সহজে। বা খুব সহজেই শিখে ফেলতে পারেন কি করে খুব সহজে ঘরোয়া ভাবে বোমা বানানো যায় ।
খুব বেশি দিন হয়নি আমাদের সকলের হাতে উঠে এসেছে স্মার্ট ফোন । আর জিওর দৌলতে আজ সকলেই ইউটিউব এর গ্রাহক । বর্তমানে এই গুগলের এই ইউটিউবের হাত ধরে আপনি শিখে ফেলতে পারেন নানান সুস্বাদু খাবার তৈরি থেকে কম পুজি তে কি ব্যাবসা করবেন তার ফন্দি ফিকির। আর কিছু না করতে পারলে সারা দিন যা কিছু করছেন তা মোবাইলে রেকর্ড করে আপলোড করে দিলেই আপনি একজন ইউ টিউব ভ্লোগার আর মাসে মাসে লাখ টাকা রোজগার …… না ঠিক এতটাও সহজ নয় ইউটিউব থেকে লাখ টাকা রোজগার করা। কিন্তু এই ইউটিউব থেকে খুব সহজেই আপনি পেয়ে জাবেন বেয়াইনি অস্ত্র, বোমা ইত্যাদি। বর্তমানে ভারতের তথা পৃথিবীর অন্ধকার জগতের যাবতীয় কাজ কারবারের অনেক তাই চলে এই ইউটিউবে । যদিও অন্ধকার জগতের বেশির ভাগ কাজ চলে ডার্কওয়েবে । যেমন আপনি জানেন পৃথিবীর এক ভাগ জল র তিন ভাগ স্থল তেমনই আপনিও ওয়েবের এক ভাগের মধ্যেয়ই বিচরণ করছেন। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমকেও ব্যাবহার করছে নানান উগ্রবাদী দল থেকে সমাজবিরোধী রা পর্যন্ত । সুধু তাই নয় বেশ কিছু দাগী সমাজবিরোধী তারা নিজেদের নামে ধাক ধল পিটিয়ে ফেসবুক আর ইউটিউবে আয়কাউন্ট ও খুলে ফেলেছে। সেখানে নামি রেস্টুরেন্টের মত কোন অপরাধ কত টাকার বিনিময়ে তারা করে থাকেন সেটাও ফলাও করে দিয়ে রেখেছেন। ঠিক এই ভাবেই বোমা তৈরি করার ফর্মুলা থেকে আগ্নেয় অস্ত্রের ডেমো থেকে কোন নম্বরে যোগাযোগ করলে সেই সব আগ্নেয় অস্ত্র আপনি পেয়ে জাবেন তা উল্লেখ করা আছে । রাতের অন্ধকারে সেই সব বেয়াইনি আগ্নেয়াস্ত্র আমাদের চোখের সামনে দিয়েই হয়ত হাত বদল হচ্ছে যা আমরা হয়তো বুঝতে পারছি না । ইন্টারনেটের মাধ্যমে শুধু আর্থিক অপরাধ হয় তা কিন্তু নয়। আমাদের প্রশাসনিক দুর্বলতা কে ব্যাবহার করছে অপরাধ জগত। সাইবার সেল বা সাইবার থানা এখনো সব থানায় উপলব্ধ নয়। যেটুকু আছে তাদের পক্ষে হয়তো সব দিকে নজর রাখা সম্ভব হয়ে উঠছে না । প্রশাসন কে আরও সজাগ হতে হবে। দেশের যুব সমাজ যারা ওয়েব জগতের হ্যাকিং নিয়ে পড়াশোনা করছেন তাদের কে সুযোগ দিতে হবে আরও বেশি করে । দেশের সিমান্তে যেমন অতন্দ্র প্রহরী হয়ে আমাদের দিন রাত নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে ভারের সেনা বাহিনি তেমনি ওয়েবের জন্য তৈরি করতে হবে আরও এক নতুন সেনা বাহিনি যা শুধু ভারতের যুব সমাজ কেই কাজে লাগিয়ে করা জেতে পারে । এর সাথে গুগল এর মত সংস্থা কেও সজাগ হতে হবে বেয়াইনি বা অনইতিক কার্যকলাপ যাতে না হয় সেই দিকে নজর রাখা ।