Home » আজ তারাপীঠে নেমেছে ভক্তের ঢল। গোটা বাংলা জুড়ে কোশিকী অমাবস‍্যা উদযাপন।

আজ তারাপীঠে নেমেছে ভক্তের ঢল। গোটা বাংলা জুড়ে কোশিকী অমাবস‍্যা উদযাপন।

বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বনের অন‍্যতম হল এই কৌশিকী অমাবস‍্যা। শাস্ত্র ও তন্ত্রমতে ভাদ্র মাসের এই তিথিতে যাবতীয় রীতি মেনে কালীপুজো করা হয় যার গুরুত্ব অসীম। কথিত আছে এই অমাবস‍্যা মেনে চললে ভক্তের জীবনের সব বাধা বিপত্তির সমাধান হয়। আর যদি কঠিন গুপ্ত সাধনার মাধ‍্যমে কৌশিকী অমাবস‍্যা পালন করে সিদ্ধিলাভ করা যায় তাহলে আশাতীত সাফল‍্য লাভ করতে পারে ভক্তরা।

এখানেই শেষ নয়। এই অমাবস‍্যার বিশেষ লগ্নে পুজো করলে স্বর্গ ও নরকের দরজাও খুলে যায়। আজ ইতিমধ্যেই মহাপীঠ তারাপীঠ সহ বাংলার প্রতিটি জায়গাতেই এই পুজোর প্রস্তুতি সেরে পুজো শুরু হয়েগিয়েছে।  এ বছর ১৪ই সেপ্টেম্বর ভোর ৪টে ৩০ মিনিটে অমাবস‍্যা তিথি শুরু হয়েছে যা আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার ভোর ৬টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত থাকছে।

আজ তারাপীঠে নেমেছে ভক্তের ঢল। গোটা বাংলা জুড়ে কোশিকী অমাবস‍্যা উদযাপন।

কিন্তু কেন এই অমাবস‍্যার নাম কৌশিকী অমাবস‍্যা?
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, পরাক্রমশালী অসুর শুম্ভ-নিশুম্ভকে হত‍্যা করতে দেবীর শরীরের কোষ থেকে আরো এক দেবীর সৃষ্টি হয়। শুরু হয় আদ‍্যাশক্তি ভগবতীর স্তব। সেই থেকেই এই দেবীর নাম হয় কৌশিকী। দেবী কৌশিকী ভগবতী কৃষ্ণ বর্নের। তিনি মর্তে কালী রুপেই পুজিত হন। কোষ থেকে সৃষ্টির কারনেই নাম কৌশিকী। দেবীর চার হাত, গলায় নরমুন্ড মালা, ব‍্যাঘ্রচর্ম পরিহিত থাকেন। এই তিথিতেই অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভ শক্তির উদয় হয়। আর এই দিনের এই তিথিতেই সাধক বামাক্ষ‍্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।

তারাপিঠের দ্বারকা নদী গঙ্গার মতোই পবিত্র। এই নদিতে স্নান করে মায়ের মন্দিরে পুজো দিলে গঙ্গা সাগর মেলা ও কুম্ভমেলা সমান পূন‍্য লাভ করা যায়। শত জন্মের পাপ বিনাশ হয়। এই দিনে তারাপীঠের মহাশশ্মানে মায়ের আরাধনা করলে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এমনটাই কথিত আছে।

আপনাদের জন‍্য রইলো আজকের তারাপীঠের দৃশ‍্যের ভিডিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!