রাষ্ট্র বিজয় উৎসব বাংলার সোনা মা – ২০২২ – শর্মিষ্ঠা আচার্যের একটি উদ্যোগ এবং অঙ্কিত-স এর দ্যা জংশন হাউজ দ্বারা উপস্থাপিত। কলকাতা বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে নারীরা নিজেদের অবদান রেখেছেন , স্বকীয়তাকে তুলে ধরেছেন রাদের সম্মানিত করা হয় রাষ্ট্র বিজয় উৎসব বাংলার সোনা মা – ২০২২ এর মধ্যে দিয়ে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব , ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছরের উদজাপন কে মনে রেখেই আয়োজন করা হয় এই সম্মননা প্রদান ।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ; লক্ষ্মী আগারওয়াল (অ্যাসিড অ্যাটাক সারভাইভার এবং ছাপাক মুভির অন্যতম চরিত্র ), চিরাগ পাসয়ান (সংসদ সদস্য, বিহার ), সলিল আচার্য ও বিশাল সিং ( বলিউড অভিনেতা) , ডা. মারিয়া ফারনান্দেজ ( পশ্চিম বঙ্গ মহিলা কমিশনের সদস্য ), মদন মিত্র ( বিধায়ক, কামারহাটি) ও রাজেশ সিনহা (কাউন্সিলর) ।
বাংলার সোনা মা বিজয়ী ছিলেন – লক্ষ্মী আগারওয়াল (অ্যাসিড অ্যাটাক সারভাইভার এবং ছাপাক মুভির অন্যতম চরিত্র ), ডা. মারিয়া ফারনান্দেজ ( পশ্চিম বঙ্গ মহিলা কমিশনের সদস্য ), রিচা শর্মা (অভিনেত্রী) ও ঐন্দ্রিলা শর্মা ( অভিনেত্রী টলিউড )
জেসিকো গোমস সুরানা, শিক্ষাবিদ: টলিউড অভিনেত্রী মল্লিকা ব্যানার্জী, তনুশ্রী চক্রবর্তী, মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া খ্যাত উষি সেনগুপ্ত, বিশিষ্ট ভারতীয় সাতারু ইলা পাল, মিস এশিয়া ওয়াল্ড 2022 খ্যাত উরওয়াস জয়সওয়াল, এম ডি ও সি ই ও ডাঃ রুপালি বসু, ট্রান্সজেন্ডার আইনজীবী ও ক্লাসিক্যাল নৃত্যশিল্পী মেঘ সায়ন্তনী ঘোষ, অ্যাসিড অ্যাটাক সারভাইভার সঞ্চয়িতা যাদব, অতিরিক্ত বিশেষ সুপারিনটেনডেন্ট CID শান্তি দাস, ট্রান্সজেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট রজ্ঞিতা সিনহা, পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক, আন্তর্জাতিক পাওয়ার লিফটার ও কলকাতা পুলিশের আধিকারিক শম্পা গুহ, টলিউডের অভিনেত্রী সুদেষ্ণা রায়, টেবিল টেনিস খেলোয়ার পৌলমী ঘটক, শ্রাবন্তী বন্দোপাধ্যায় সহ প্রতিষ্ঠাতা বেঙ্গল ঘরানা।
মিডিয়ায় সাথে কথা বলার সময়, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট মিসেস শর্মিষ্ঠা আচার্য বলেন ” আমরা সেই নারী কে সেলুট জানাই যারা আমাদের দেশ কে এমন ভাবে গর্বিত করেছেন। আপনি যখন একটি শক্তিশালী কন্যার সাথে দেখা করবেন, তখন আত্মবিশ্বাসের স্পন্দন এক মাইল দুর থেকেই অনুভব করতে পারবেন। তিনি জানেন তিনি জীবনে কি চান, তিনি যা চান তার জন্য তিনি অন্য কারো ওপর নির্ভর করেন না, তাই আমরা লক্ষী আগারওয়ালের মতো আমাদের দেশের গর্বিত কন্যা এবং বিভিন্ন প্রজন্মের আরও অনেক কে সম্মানিত করেছি কারন এটি সমাজের জন্য একটি মহৎ বার্তা যে উপজাতি সম্প্রদায়ের নারীরা আমাদের সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ”
অনুষ্ঠানে বকতৃতাকালে দ্যা জংশন হাউজের পরিচালক মিঃ রাজ রায় বলেন “মহিলারা একরকম অবহেলিত এবং সমাজে অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে তাদের যেতে হয়, সমস্ত সম্প্রদায়কে এক প্লাটফর্মে নিয়ে বিপ্লব আনতে এই আয়োজন। উপজাতীয় নারী, ট্রান্সজেন্ডার, অ্যাসিড ভিকটিম, আমলা, ক্রীড়াবিদরা অবদান রেখে চলেছেন। কিন্তু নারীদের অনান্য অংশও আছে যারা পিছিয়ে আছে, আমাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা খুব খুশি যে লক্ষী আগারওয়াল এবং অনান্য প্রধান অতিথিরাও এই কারন কে সমর্থন জানাতে এগিয়ে এসেছেন।