পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী কী? এক কথায় জবাব আসবে নীল। কারণ, ছোটবেলার ভূগোল বইতে ‘নদী’ অধ্যায়ে আমরা সবাই কমবেশি সবাই তাই পড়েছি। তবে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ক্ষুদ্রতম নদী কী? এই প্রশ্নের উত্তর বোধ হয় ভূগোলের পাঠ্যবইতেও নেই। রয়েছে রবি ঠাকুরের কবিতায়। ‘আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে-বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে…’। আর এই ছোট নদী শুধু আমাদের নয়। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এরকম আরও অনেক ছোট ছোট নদী।
ডি নদী—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নদীর উৎপত্তি ডেভিলস লেক থেকে। ১৩০ মিটার যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বয়ে যাওয়ার পর প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে মিশেছে এই নদী। এই ছোট্ট নদীতেই মাছ ধরতে হাজির হন কয়েক লক্ষ মানুষ।
ট্যাম্বোরাসি নদী— ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত সুলাওয়েসির নদী। এই নদীর দৈর্ঘ্য মাত্র ২০ মিটার। সুলাওয়েসির একটি পাথুরে ঝর্ণা থেকেই জন্ম এই নদীর। এই নদী গিয়ে মিশেছে বনি উপসাগরে। ইন্দোনেশিয়ার চজনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এই নদী।
রো নদী— আমেরিকার সবচেয়ে ছোট নদী। মন্টানার কাছে অবস্থিত জায়েন্ট স্প্রিংস জলপ্রপাত থেকে এই নদীর জন্ম। মাত্র ৬১ মিটার বা ২১০ ফুট প্রবাহিত হয়ে এই নদী গিয়ে মেশে মিসৌরি নদীতে। এই নদী শুধু আমেরিকার নয়, গোটা বিশ্বের দীর্ঘতম নদী।
ওম্বালা নদী— ক্রোয়েশিয়ার দুব্রোভনিচ অঞ্চলে অবস্থিত এই নদীর দৈর্ঘ্য মাত্র ৩০ মিটার। মজার বিষয় হল, এই নদী বৃষ্টি কিংবা বরফ গলা জলে পুষ্ট নয়। এই নদীর জলের উৎস ভূগর্ভস্থ কার্স্ট স্প্রিং। আড্রিয়াটিক সাগরে মেশার পরেও, সমুদ্রের গভীরে বেশ খানিকটা প্রবাহিত হয় ওম্বালা। যদিও সেই প্রবাহ দৈর্ঘ্য হিসাবে গণনা করা হয় না। এই নদীই দুব্রোভনিচ অঞ্চলের মানুষদের পানীয় জলের প্রধান উৎস।
রেপ্রুয়া নদী— জর্জিয়ার আবখাজিয়া অঞ্চলে উপকণ্ডে অবস্থিত এই নদীটির দৈর্ঘ্য ২৭ মিটার। ১০০ ফুটের কম দূরত্ব অতিক্রম করে এই জলপ্রবাহ। এই নদীর উৎস দ্বিতীয় গভীরতম গুহা ক্রুবেরা। কৃষ্ণসাগরে গিয়ে মিশেছে এই নদী।
আরাবারি নদী— পৃথিবীর বেশির ভাগ ছোট নদীর দৈর্ঘ্যই ২০০ মিটারের কম। এত ছোট নদী আমাদের ভূ-ভারতে নেই। তা অবশ্য ভারতের ভূপ্রকৃতির জন্যই। ভারতের ক্ষুদ্রতম নদী হিসাবে ধরে নেওয়া হয় আরাবারি নদীকে। রাজস্থানের আলোয়ার জেলায় অবস্থিত এই নদীর দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার। মরুভূমির দেশে অবস্থিত হলেও সারাবছর জল থাকে এই নদীতে।