চার বন্ধু অভিমুন্য, তিথি, এষা এবং আদিত্য একই অ্যাপার্টমেন্টের দুটো আলাদা ফ্ল্যাটে থাকে। এরা চারজনই আইটি সেক্টরে কর্মরত। হাতে টাকা পয়সা ভালোই আছে। তাই এদের জীবনটাও হয়ে ওঠে খুবই উশৃঙ্খল। পাবে যাওয়া, মদ খাওয়া, নেশা করা এসব হয়ে ওঠে তাদের উইকেন্ডের আনন্দ। এমনই একটা রাতে তারা পাবে গিয়ে মদ খায়, নেশা করে এবং নাচে – গানে মেতে ওঠে। মত্ত অবস্থায় একটা অচেনা যুবকের সাথে অভিমুন্যুর ঝামেলা বাঁধে তিথিকে কেন্দ্র করে।
এরপর শুরু হয়ে অভিমুন্যু আর তিথির বচসা। সেই বচসা চলে তাদের ফ্ল্যাটে ফেরা অবধি। এরপর অভিমুন্যু ও তিথি এবং আদিত্য ও এষা তাদের ফ্ল্যাটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরদিন সকালে কাজের মহিলা এসে বেল বাজিয়ে এবং অনেক ডাকাডাকির পরেও একটা ফ্ল্যাটেরও দরজা খোলে না। বাধ্য হয়ে দরজা ভাঙতে হয়। সেখানে চর বন্ধুর একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্য আরেকজন অচৈতন্য হয়ে পড়ে থাকে মেঝেতে। ঘটনার ইনভেস্টিগেশনের দায়িত্ত্ব বর্তায় ডি সি পি অনীশ রায়ের ওপর।
তদন্ত অনুসন্ধানের মাধ্যমে অনীশ জন্যে পারেন, সেদিন এই ফ্ল্যাটের জানলা – দরজা সবই ভেতর থেকে বন্ধ ছিল এবং ঘরে শুধুমাত্র ছিল তারা দুজনেই। তবে কী তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আগে থেকেই ওখানে ছিল ? থাকলেও সে ঢুকলো কীভাবে ? একের পর এক সকলকে জেরা করা হলো, কিন্তু কোনো সূত্র পাওয়া গেলো না। এরই মধ্যে ফ্ল্যাটের সিকিউরিটি পলাতক। তবে কি রহস্য অন্যদিকে ঘুরতে চলেছে ? নাকী এর নেপথ্যে আছে আরও অন্য কোনো কাহিনী ? অনীশ কী পারবেন এই রহস্যের