বাজলো তোমার আলোর বেনু, মাতলো রে ভূবন। আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই শারদোৎসবে সামিল হবে আপামোর বাঙালী। কিন্তু যারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বা প্রবীণ নাগরিক। তাঁরাও চান পুজোর আনন্দে সামিল হতে। তাঁদের জন্যই এনআইপি এনজিওর- ফোরাম ফর দুরগোৎসব।
সাইনি ইন্টান্যাশনাল স্কুল, মমতা সুমিত বিনানী ফাউন্ডেশন, রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা ওল্ড সিটির সহযোগিতায় দৃষ্টিহীন, বিশেষ ভাবে সক্ষম, ও প্রবীন নাগরিকদের জন্য বিশেষ পুজো পরিক্রমার ব্যাবস্থা করেছে। মোট ২৫০ টি পুজো কমিটি এতে অংশ নেবে। প্রবীন নাগরিক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য থাকবে পৃথক বন্দোবস্ত তারা তিনটি পুজো প্যান্ডেলে – হাজরাপার্ক দুর্গোৎসব কমিটি, এস বি পার্ক এবং ইয়াং বয়েজ ক্লাব ( চিৎপুর ক্রসিং এর কাছে ) -এর জন্য দৃষ্টিহীন দের জন্য ব্রেইল ডিসপ্লে স্ট্যান্ড চালু করেছে।
অনুষ্ঠানটিতে অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন যেমন শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কৃষি মন্ত্রী ;পশ্চিম বঙ্গ সরকার, শ্রী সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়, হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, মমতা বিনানি, NIP NGO -র প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং MSME ডেভেলপমেন্ট ফোরাম WB-এর সভাপতি কল্যান ভৌমিক, শ্রী সঞ্জয় মজুমদার, দুর্গোৎসব ফোরাম, শ্রী দেবজ্যোতি রায়,NIP NGO -র সেক্রেটারি সহ আর্র অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
সংবাদ মাধ্যম কে NIP NGO -র প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং MSME ডেভেলপমেন্ট WB-র সভাপতি মমতা বিনানি বলেন, ” প্রতিবন্ধকতা একজন ব্যাক্তির বৈশিষ্ট্য নয়, বরং সামাজিক পরিবেশ দ্বারা সৃষ্ট পরিস্থিতির একটি জটিলতা। যখন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের প্যান্ডেলে প্রবেশের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাড়াতে হবে না, এবং পুজো প্রাঙ্গনে সরাসরি প্রবেশাধিকার থাকবে, তখন তা সত্যিই ভিন্ন ভাবে সক্ষম ব্যাক্তিদের উৎসবের আনন্দে অংশগ্রহন করতে অনুপ্রাণিত করবে। একটু চিন্তাশীলতা প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের একই অনুভূতি এবং অন্যরা শীঘ্রই অনুসরন করবে এটাই আমরা আশাকরি। আজকের বিশ্বে কিছু সক্ষম মানুষও কখনও কখনও তাদের চিন্তা ভাবনা, আচরন এবং অভিযোজন ক্ষমতার কারনে আরও বেশি প্রতিবন্ধী হয়।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে, হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শ্রী সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন ” এই পুজোর মরসুমের শুরুতে, যখন সকলেই উৎসবের আনন্দে সামিল হতে চায় তখন আমরা মানবতার তাগিদ থেকেই একটি অনন্য লড়াই কে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাইনি গ্রুপের সিইও তপন পট্টনায়ক। তিনি বলেন দুর্গা পুজো পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উৎসব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উৎসবটি দারুন আড়ম্বরের সহযোগে উপভোগ করে। কিন্তু মানুষ সমাজের অন্য অংশের কথা ভূলে যায় যারা ভিন্নভাবে সক্ষম এবং প্রবীণ নাগরিক। তাদেরও এই আনন্দে সামিল হতে মন চায়। তাদের পুজো মন্ডপগুলোতে প্রবেশের বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা পুজো কমিটিদের এই মিশনে আমাদের সর্বাত্বক সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি।
NIP NGO : ( ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনালস ) এনআইপি এনজিও – দৃষ্টিহীন এবং অন্যান্য ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্য একটি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। NIP 3rd December 2012 এ “স্টেট অ্যাওয়ার্ড” এ সম্মানিত হয়েছিল। এছাড়াও, এটি কলকাতার বিভিন্ন অংশে এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলা গুলিতে বেশ কয়েকটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছে। এনআইপির লক্ষ্য দৃষ্টিহীন এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যাক্তিদের জন্য সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য করা। এটি অল বেঙ্গল দাবা প্রতিযোগিতা এবং দৃষ্টিহীন দের জন্য T-20 ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইত্যাদি আয়োজন করে আসছে।