ভারতে সাধারণত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে থাকে শীতকাল। এই সময় আমরা যে সব্জি গুলি পেয়ে থাকি সেগুলো হলো সজনে ডাটা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, করাইসুটি, নতুন আলু প্রভৃতি। আর এই সময়ের অন্যতম একটি সুস্বাদু খাবার হল করাইসুটির কচুরি ও নতুন আলুরদম। বাঙালিদের কোনো এক শীতকালের রাতে এই খাবার একেবারে জমে যায়। আসুন এই খাবারের রেসিপিটা একবার পরে নিন-
করাইসুটির কচুরি বানাতে প্রথমে করাইসুটিকে ভালো করে ধুয়ে মিক্সিতে একটু জল ও কাঁচা লঙ্কা সহ পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সাদা তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে তালে কালোজিরে দিয়ে পেস্টটি দিয়ে দিতে হবে। এরপর তাতে স্বাদ মতো নুন, মিষ্টি দিয়ে পেস্টটি শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে আসলে সেটি নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ময়দাতে সামান্য নুন ও সাদাতেল দিয়ে, জল মিশিয়ে ময়দাটা ভালো করে মেখে নিতে হবে এবং সেটির লেচি বানিয়ে নিতে হবে। লেচি গুলিতে পুর ভোরে বেলে নিতে লাগবে। তারপর সেইগুলিকে ফুটন্ত সাদা তেলে ভেজে নিতে হবে। করাইসুটির কচুরিগুলি একটু লাল লাল ভাজা হয়ে গেলে আপনার করাইসুটির কচুরি একদম তৈরি।
নতুন আলুর দমের জন্য ছোট আলু গুলোকে ভাল করে ধুয়ে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে খোলা ছাড়িয়ে নিতে হবে। কাটা চামচ দিয়ে আলুর গায়ে ফুটো করে দিতে হবে। যাতে মসলা ঢুকতে পারে। কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য হলুদ ও নুন দিয়ে আলু গুলোকে লালচে করে ভেজে নিতে হবে। এরপর কড়াইতেই আরো খানিকটা তেল দিয়ে তেজপাতা গোটা জিরে শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিতে হবে ।কয়েক সেকেন্ড পর পাতা বাটা ও টমেটো পিউরি দিয়ে খুব ভালো করে ভেজে নিতে হবে এরপর কাঁচা লঙ্কার বাটা নুন চিনি কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে সামান্য জল দিয়ে দিতে হবে । ভালো করে নাড়াচাড়া করে কষিয়ে নিতে হবে। এরপর ভেজে রাখা আলু দিয়ে এক থেকে দুই মিনিট নাড়াচাড়া করে দেড় কাপ গরম জল দিয়ে ফুটলে ঢাকা চাপা দিয়ে রাখতে হবে মাঝারি আঁচে। তিন চার মিনিট পর ঢাকনা খুলে ঝোলটা গাঢ় হয়ে গেলে গরম মসলার গুঁড়া ও ১ চা চামচ ঘি দিয়ে ১ মিনিট রেখে নামিয়ে নিতে হবে। তাহলেই আপনার তৈরি নতুন আলুর দম।
শীতকালে এইরকম সুস্বাদু খাবারের জুড়ি মেলা ভার। তাই আপনিও বাড়িতে একবার ট্রাই করে দেখতেই পারেন এই রেসিপিটি, করাইসুটির কচুরি ও নতুন আলুরদম।